সিনোভ্যাকের সাড়ে সাত কোটি টিকার সিডিউল এখনো পাইনি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে কেনা সাড়ে সাত কোটি সিনোভ্যাকের টিকার সিডিউল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখনো পায়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। অনুষ্ঠানে অনলাইন ড্রাগ লাইসেন্সের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২১ কোটি করোনা টিকা কেনা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই ২১ কোটি টিকার মধ্যে সিনোভ্যাকের সাড়ে সাত কোটি টিকা রয়েছে। সিনোভ্যাকের এসব টিকা এখনো আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। সিনোভ্যাকের টিকার সিডিউল এখনো আমাদের পুরোপুরি দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আমরা আশা করি, এই মাসের শেষের দিকে টিকা আসতে পারে। তা নাহলে আগামী মাসেও আসতে পারে। চূড়ান্ত সিডিউল এখনো আমাদের কাছে দেয়নি।
বিভিন্ন দেশে বুস্টার ডোজ টিকা দেওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনো এই বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করিনি। এখনও আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমাদের বিদেশগামীদের যে টিকা দেওয়া প্রয়োজন সেটা আমরা দিচ্ছি। আমরা তাদের ফাইজার এবং মডার্নার টিকা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, গতকাল আমরা বর্তমান সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বিষয়টি পজিটিভলি নিয়েছে। আমাদের বিদেশগামীরা যাতে কষ্ট পাবে না, সে ব্যবস্থা করা হবে বলে অবগত করেছে।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বেশি অ্যান্টিবায়োটিক খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারায়। বিশ্বের সব দেশের অ্যান্টিবায়োটিকের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, করোনায় যারা মারা গেছেন এমন অনেককে দেখা গেছে, তাদের কোনো ওষুধ খেলে শরীরে কাজ করছে না। কারণ তারা মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছেন।
এখন কৃষিক্ষেত্রে মাছ এবং পশু-পাখির খাবারে মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই পশু-পাখির মাংস যখন আমরা খাই তখন তো আমাদের শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ বিষয়টি তদারকি করছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।
এমএমএ/কেএসআর/জিকেএস