২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৮৯২ জনের ৭২৩ জনই রাজধানীর বাসিন্দা
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৫২টি ল্যাবরেটরিতে ২১ হাজার ২৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৮৯২ জনের নমুনায় করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ২০ শতাংশ। এনিয়ে চলতি বছরের প্রথম পাঁচদিনে দুই হাজার ৩৬৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া ৮৯২ জনের মধ্যে ৭২৩ জনই ঢাকা মহানগরের। অর্থাৎ মোট শনাক্ত রোগীর ৮১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশই রাজধানীর বাসিন্দা। এছাড়া ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে ফরিদপুরে চারজন, গাজীপুরে চারজন, কিশোরগঞ্জে একজন, মানিকগঞ্জে একজন, মুন্সিগঞ্জে দুজন, নারায়ণগঞ্জে তিনজন ও টাঙ্গাইলে একজন।
বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং পরদিন ২ জানুয়ারি তা বেড়ে হয় ২ দশমিক ৯১ শতাংশ। তবে ৩ জানুয়ারি শনাক্তের হার ৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। এদিন শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৯১ শতাংশে।
ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহে পাঁচজন এবং জামালাপুরে একজন আক্রান্ত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় ৫৩ জন, কক্সবাজারে ছয়জন, ফেনীতে একজন, নোয়াখালীতে তিনজন, চাঁদপুরে সাতজন, কুমিল্লায় একজন শনাক্ত হয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলায় ১৮ জন, নাটোরে দুজন, পাবনায় একজন, সিরাজগঞ্জে একজন এবং বগুড়ায় পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন। রংপুর বিভাগের রংপুর জেলায় পাঁচজন এবং দিনাজপুরে সাতজন।
খুলনা বিভাগের খুলনা জেলায় একজন, বাগেরহাটে একজন, চুয়াডাঙ্গা দুজন, যশোরে তিনজন, সাতক্ষীরায় একজন এবং কুষ্টিয়ায় দুজন শনাক্ত হয়েছেন।
বরিশাল বিভাগের বরিশালে দুজন, পটুয়াখালীতে চারজন, পিরোজপুরে একজন এবং ঝালকাঠিতে একজন রোগী শনাক্ত হন। এছাড়া সিলেট বিভাগের সিলেট জেলায় ১৮ জন এবং হবিগঞ্জে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সারাদেশে মারা গেছেন তিনজন। তাদের মধ্যে ঢাকার একজন, মানিকগঞ্জের একজন এবং রাজশাহী বিভাগের বগুড়ায় একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/এএএইচ/এএসএম