ওমিক্রন রোধে গাইডলাইন চূড়ান্ত: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৪:৫১ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২২
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে সংক্রমণ বাড়ছে। এজন্য ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘গবেষণা থেকে জানা গেছে, দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি ও বিএসএমএমইউয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি অতিসংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনেও অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। দ্রুত সংক্রমণে সক্ষম এ ভ্যারিয়েন্টের জন্য ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন তৈরি হয়েছে, সেটি চূড়ান্ত হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই অন্যান্য স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠানকে এটি দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ও শতকরা হিসাবে শনাক্তের হার একটু একটু করে বেড়েছে। ১৯ জানুয়ারি ৯ হাজার ৫০০ রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং শনাক্তের হার ছিল ২৫ শতাংশের উপরে। ২৫ জানুয়ারি রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৩৩ জন শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এসময়ে মোট রোগী ছিল ২১ হাজার ৬২৯ জন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ইতোমধ্যে তা এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি ছাড়িয়েছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ মুখপাত্র বলেন, ‘ওমিক্রনের অন্য উপসর্গ কী আছে, তা বের করতে কাজ চলছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, সঠিক নিয়মে মাস্ক পরা, সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া জরুরি।’

এমইউ/এএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।