করোনায় মৃতদের ৬২ শতাংশের বেশি টিকা নেয়নি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:৫৮ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যা কমলেও এসময়ে যারা মারা গেছেন তাদের অধিকাংশই করোনা প্রতিরোধী টিকা নেননি।

ইপিডেমিওলজিক্যাল ষষ্ঠ সপ্তাহের (৭ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২৩০ জন। ইপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তম সপ্তাহে (১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) মৃতের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ১৪৬ জনে দাঁড়ায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সর্বশেষ সপ্তাহে করোনায় মারা যাওয়া ১৪৬ জনের মধ্যে পুরুষ ৯৭ জন ও ৪৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ৫৫ জন (৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ) টিকা নিয়েছেন। বাকি ৯১ জনই (৬২ দশমিক ৩ শতাংশ) করোনা প্রতিরোধী টিকা নেননি।

পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, ৫৫ জন টিকাগ্রহীতার মধ্যে প্রথম ডোজ ৬ জন ও ৪৮ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং একজন তৃতীয় অর্থাৎ বুস্টার ডোজের টিকা নিয়েছেন।

সর্বশেষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে কো-মরবিডিটিজনিত কারণে অধিকাংশ রোগীর মৃত্যু হয়। উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি এবং গ্যাস্ট্রোলিভারজনিত সমস্যায় অধিকাংশ রোগীর মৃত্যু হয়।

এদিকে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ ও নারী ৪ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৭৪ জনে।

একই সময় নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৫১ জনে। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ২৪২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নতুন করে মৃতদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ এবং বেসরকারি হাসপাতালে একজন মারা যান। মৃত্যুহার এক দশমিক ৫০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষার জন্য ২৮ হাজার ৩১৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর পরীক্ষা করা হয় ২৮ হাজার ৯৭টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬৪টি।

একই সময়ে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৮ হাজার ৬৭৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৫৮ জনে। সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ।

করোনায় মোট মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৫০৪ জন ও নারী ১০ হাজার ৪৭০ জন রয়েছেন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত এবং এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছরের ১০ আগস্ট দেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ২৬৪ জন এবং একই বছরের ২৮ জুলাই দৈনিক সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল ১৬ হাজার ২৩০ জন।

এমইউ/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।