মরণোত্তর অঙ্গদান সংক্রান্ত আইন করতে হবে: ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪২ এএম, ২৮ মার্চ ২০২২

মরণোত্তর অঙ্গদান সংক্রান্ত আইন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, এ অঙ্গদান নিয়ে যেন কোনো অপরাধ সংঘটিত না হয়। আমি মরণোত্তর অঙ্গদান সংক্রান্ত আইন করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সঙ্গে কথা বলবো। তিনি যেন একটি আইন করার মাধ্যমে বিষয়টি সহজ করে দেন। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে বলেও যোগ করেন প্রখ্যাত এ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।

রোববার (২৭ মার্চ) রাজধানীর সাতারকুল ইউনাইটেড সিটিতে আয়োজিত ‘মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্টের সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

দেশে কৃত্রিম হার্ট প্রতিস্থাপনে সায় দেওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন বলেন, ‘আমি রোগী ও তার স্বামীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বাংলাদেশে যে এ ধরনের সার্জারি সম্ভব, তা জাহাঙ্গীর কবীরের নেতৃত্বে প্রমাণিত হয়েছে। এটি অত্যন্ত গৌরবের। তারা এমন একটি কাজ করেছেন যে বিদেশের অনেকেই এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না। এটি আমাদের বিরাট সাফল্য।’

তিনি আরও বলেন, ট্রান্সপ্ল্যান্ট নিয়ে আমাদের দেশে কুসংস্কার আছে। একজন মৃতব্যক্তি তার অঙ্গদান করলে অন্তত ৫ থেকে ৬ জন মানুষের জীবনরক্ষা করতে পারেন। এটি একটি বিরাট বিষয়। মৃত্যুর পর অঙ্গদানে লোকজনকে উৎসাহিত করতে হবে।'

সার্জারির নেতৃত্ব দেওয়া চিকিৎসক ডা. জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, ‘এ সার্জারি আমাদের সক্ষমতার প্রকাশ। প্রথম অবস্থায় আমরা রোগী পেতাম না। সরকারি হাসপাতাল ছাড়া কোথাও হার্টের চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না। রোগীরা ধুকে ধুকে মারা যেতেন। মানুষকে আস্থায় আনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের তা ছিল না। আমরা আস্থার একটা পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছি। বাংলাদেশের অনেক হাসপাতালে এখন হার্টের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। আমরা সর্বাধুনিক সার্জারি করছি। আমরা এক নারীকে মেকানিক্যাল হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের মতো সার্জারি করেছি। তিনি এখন সুস্থ আছেন। আমি ওনার অপারেশন এমনভাবে করেছি যেন ভবিষ্যতে হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা যায়।’

এসময় মরণোত্তর অঙ্গদানের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০১২ এর পর ভারতে অনেক হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েছে। এর কারণ তাদের অর্গান ফাউন্ডেশন রয়েছে। আমাদের এখানে তা গড়ে ওঠেনি। আমাদের দেশে এ ধরনের ব্যবস্থা তৈরিতে সচেতনতা প্রয়োজন। এতে অনেক প্রাণ অকালে ঝরে যাওয়া রোধ হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে মেকানিক্যাল হার্ট স্থাপন করা নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এটি স্থাপনের পরে তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারছেন বলে চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এএএম/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।