ফিজিসিস্টের অভাবে ক্যান্সারের সুচিকিৎসা হচ্ছে না


প্রকাশিত: ০১:২৯ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৬

বাংলাদেশের অনেক হাসপাতালে সিঙ্গাপুর ও ব্যাংকক এর মতো ক্যানসার চিকিৎসার যন্ত্রপাতি থাকলেও পর্যাপ্ত মেডিক্যাল ফিজিসিস্ট এর অভাবে যথাযথভাবে ক্যানসার চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে শত শত ক্যানসার রোগী বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যার ফলে বাংলাদেশের একটি বিরাট অর্থ বাহিরের দেশে চলে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ মেডিক্যাল ফিজিক্স সোসাইটি (বিএমপিএস ও ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চ অ্যান্ড হসপিটালের সহযোগিতায় সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিক্যাল ফিজিক্স অ্যান্ড বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে ক্যান্সারের চিকিৎসায় মেডিকেল ফিজিসিস্টের ভূমিকা শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এ সব কথা বলেন।

সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা পদার্থবিদ্যার পথিকৃত জার্মানী কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর ড. গোলাম আবু জাকারিয়া। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চ অ্যান্ড হসপিটালের ডাইরেক্টর প্রফেসর ডা. মোয়াররফ হোসেন এবং রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. শেখ গোলাম মোস্তফা।

সেমিনারে বক্তারা ক্যানসার চিকিৎসায় মেডিক্যাল ফিজিসিস্ট তথা চিকিৎসা পদার্থবিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। এই প্রসঙ্গে প্রধান বক্তা প্রফেসর ড. গোলাম আবু জাকারিয়া বলেন, ‘উন্নত মানের ক্যানসার চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি হাসপাতালে কমপক্ষে দুইজন করে মেডিক্যাল ফিজিসিস্ট আবশ্যক। তাই প্রফেসর ড. জাকারিয়া দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে কমপক্ষে দুই জন মেডিক্যাল ফিজিসিস্ট নিয়োগের কথা বলেন।   বাংলাদেশের ক্যানসার চিকিৎসা হলেও নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ মেডিক্যাল ফিজিসিস্ট।’

মূলত ক্যানসার চিকিৎসায় ডাক্তাররা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন মেডিক্যাল ফিজিসিস্টরা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবং বাংলাদেশের ক্যানসার চিকিৎসাকে আর উন্নত করার প্রয়াসে প্রফেসর ড. গোলাম আবু জাকারিয়ার সহায়তায় ২০০০ সালে গণবিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মেডিক্যাল ফিজিক্স অ্যান্ড বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চালু করা হয়।

এমইউ/এসএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।