‘শিক্ষক চিকিৎসকদের প্রকৃতপক্ষে কোনো অবসর নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

অবসরপ্রাপ্ত মহান শিক্ষকরা কখনো বার্ধক্যের কাছে হার মানেননি। তারা একদিকে যেমন মানুষদের স্বাস্থ্য সেবা দিয়েছেন, অন্যদিকে গবেষণা করে রোগ প্রতিরোধ করার উপায় বের করেছেন। মানুষ গড়ার এ কারিগররা আমৃত্যু মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রাতিষ্ঠানিক অবসর নিলেও তারা দেশের প্রয়োজনে মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। তাই শিক্ষক চিকিৎসকদের প্রকৃতপক্ষে কোনো অবসর নেই।

শনিবার ( ১৭ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ৭৪ জন বিভিন্ন স্তরের গুণী শিক্ষকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। এসময় দেশের মানুষকে আজীবন সেবা করে যাওয়া অবসরপ্রাপ্ত এ সব শিক্ষককে উত্তরীয় ও ফুল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সংবর্ধনা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সব পর্যায়ের শিক্ষকরা পরিবারের চেয়ে বেশি সময় ব্যয় করেছেন মানুষের সেবায় ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায়। তারা যে সময় পরিবারে ব্যয় করেছেন সেই সময়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা ভেবেছেন। এ সব শিক্ষকরা ছাত্রদের নিজেদের সন্তানের মতো করে মানুষ করেছেন।

অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা দাবি করেন, তাদের যেন এমন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দেশের মানুষের প্রয়োজনে তারা সর্বদা কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান এ গুণী শিক্ষকরা।

উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি প্রতিদিন নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সবার পদের যথাযথ মর্যাদা দিতে কাজ করেছি। প্রত্যেক শিক্ষক যাতে তার প্রাপ্ত সম্মান পান সে পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মেধা যাতে কাজে লাগানো যায় সে লক্ষ্যে একাডেমিক ও গবেষণার কাজে সম্পৃক্ত করেছি। তারা যাতে সপ্তাহে এক বা দুইদিন ক্লাস নিতে পারেন সেই বিষয়ে বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশনা প্রদান করেছি। এ রকম অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষকরা একাডেমিক ও গবেষণার কাজে বেশ সাফল্য দেখিয়েছেন। বর্তমান প্রশাসনের আমলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকদের প্রকৃতপক্ষে কোনো অবসর নেই। অবসরের পর তাদের নানান কাজে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করেছি।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান খান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আসগড় মোড়ল, ব্যাসিক সাইন্স ও প্যারা ক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক আহমেদ আবু সালেহ্,নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক দেবব্রত বনিক, টেকোনোলোজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক দেবতোষ পাল, প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আতিকুল হক, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক মানিক কুমার তালুকদার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহম্মদ হাফিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান দুলালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক ও অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এএএম/এমআইএইচএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।