স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রতিবেদন

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ওএমআর শিট ছেঁড়ার ঘটনা ঘটেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৪ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়া নামের এক শিক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছেঁড়ার অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অধিদপ্তর।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এক পরীক্ষার্থীর আনা অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়। এ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর অভিযোগ অনুযায়ী রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেখ কামাল ভবন, অষ্টম তলা) কেন্দ্রে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার সময় পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ করেন হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়া নামের এক পরীক্ষার্থী। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক কাজী আফজালুর রহমানকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর সদস্য সচিব ছিলেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজের থোরাসিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আলম ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামাল হোসেন।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরোনো ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে চলে যাওয়ার সময় এক পরীক্ষার্থী এবং তার পরিবারের সদস্যরা মন্ত্রীর পথ আগলে ধরেন। তারা অভিযোগ করেন, ৯ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার সময় ওই পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন পরীক্ষা কেন্দ্রের এক পর্যবেক্ষক।

ওই শিক্ষার্থীর কেন্দ্র ছিল রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র (শেখ কামাল ভবন, অষ্টম তলা)। পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বনের সন্দেহে এক পর্যবেক্ষক ওই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন। পরে পর্যবেক্ষক তার ভুল বুঝতে পারেন এবং নতুন ওএমআর শিট দেন। তবে তখন পরীক্ষা শেষ হতে আর মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি ছিল। অনুরোধ করার পরও পর্যবেক্ষক তাদের জন্য পরীক্ষার সময় বাড়াননি।

এএএম/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।