মফস্বলে ১৮ সমস্যা নিয়ে কাজ করেন চিকিৎসকরা: ল্যানসেট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
প্রতীকী ছবি

মফস্বলে কাজ করা চিকিৎসকরা কাজের ক্ষেত্রে ১৮ ধরনের সমস্যায় ভোগেন। এর মধ্যে রয়েছে নারী চিকিৎসকরা যথাযথ সম্মান না পাওয়া, কাজের নোংরা পরিবেশ, অনিরাপদ কর্মস্থল, প্রভাবশালীদের চাপ, আবাসন সমস্যা, নীতি সম্পর্কিত সমস্যা প্রভৃতি।

এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গত ১৭ মার্চ চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানানো হয়।

গবেষণায় অংশ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের ছয় শিক্ষক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা শাখার এক কর্মকর্তা। এতে দেশের আট বিভাগের ৯টি জেলা হাসপাতাল এবং ১৭টি উপজেলা হাসপাতালের ৫১ জন চিকিৎসকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

সাক্ষাৎকার নেওয়া চিকিৎসকদের গড় বয়স ৩১ বছর। তাদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ, বাকিরা নারী। তাদের মধ্যে পরিবার নিয়ে কর্মস্থলে থাকেন ৩২ জন, বাকি ১৯ জন একা থাকেন। ২০২১ সালের মার্চ ও এপ্রিল মাসে এসব চিকিৎসকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

গবেষণায় বলা হয়, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কারণে চিকিৎসকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। কর্ম এলাকায় চিকিৎসকদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষার ভালো সুযোগ পান না। জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে নোংরা পরিবেশে কাজ করতে হয়। জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে অবকাঠামোগত দুর্বলতা বেশি এবং আবাসন সমস্যাসহ গ্রামাঞ্চলে বা ছোট শহরে কাজের ক্ষেত্রে এমন ১৮ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন চিকিৎসকরা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব সমস্যার সমাধান না করলে হাজারো চেষ্টায়ও সরকার গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসক ধরে রাখতে পারবে না।

গবেষকদের একজন বিএসএমএমইউর পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. খালেকুজ্জামান। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলে বা ছোট শহরে চিকিৎসকরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন, আমরা তা শনাক্ত করতে পেরেছি। কাজের পরিবেশ, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং চিকিৎসকদের সার্বিকভালো ভালো থাকার ব্যাপারে নীতি ও কৌশল গ্রহণ এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।

এএএম/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।