ঢাকা মেডিকেলে দালাল থাকবে না, নির্ধারিত হবে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১৫ পিএম, ১৬ মে ২০২৪
ফাইল ছবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোনো দালাল চক্র থাকবে না। একই সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট বন্ধে করে নির্ধারিত করা হবে ভাড়া। এছাড়া হাসপাতালের প্রবেশমুখে হকার উচ্ছেদসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়গুলো নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজে কোনো দালাল চক্র থাকতে দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় নির্মূল করা হবে তাদের। একই সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল প্রাঙ্গণে কোনো অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট যাতে না থাকে সেজন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে রোগীর চাহিদার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত ভাড়ায় রোগী পরিবহন করবে অ্যাম্বুলেন্স। এই হাসপাতালে ৫০০০ বেড করা হবে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এবং এনজিওর সমন্বয়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলবে। হাসপাতালের শূন্য পদে নিয়োগ, নতুন পদ সৃষ্টি, প্রবেশ মুখে হকার উচ্ছেদ, পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ, স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করা হবে।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাংলাদেশের মধ্যে একটি অন্যতম হাসপাতাল। এই হাসপাতাল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন এবং সাধারণ মানুষের সেবা পেতে যেন কোনো অসুবিধা না হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে আইসিইউ শয্যা কীভাবে বাড়ানো যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এরই মধ্যে ১৫টি আইসিইউ বাড়ানো হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে চালু হবে ১০টি।

দালালের বিষয়ে তিনি বলেন, এক শ্রেণির দালাল চক্র রয়েছে। যারা সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা নিতে বাধাগ্রস্ত করে। এই দালাল চক্রের দৌরাত্ম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাসপাতালের আশপাশে যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে যেগুলো দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হবে।

ঢাকা মেডিকেলে দালাল থাকবে না, নির্ধারিত হবে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া,

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রচেষ্টা ও ভালোবাসার যে নিদর্শন তা বিরল। আমরা যদি তার দিকে তাকিয়ে সবাই একটু একটু করে পরিবর্তন আনতে পারি তাহলে সে পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে দেশের মানুষের কল্যাণ হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রতিটি মানুষই চিকিৎসা পাক। একজন মানুষও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে পতিত হোক সেটি আমরা চাই না। এটি জাতির পিতার স্বপ্ন।

ঢাকা-৮ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ঢাকা মেডিকেল বাংলাদেশের সব মানুষের চিকিৎসা পাওয়ার আস্থার জায়গা। বাংলাদেশের কোথাও যে রোগী চিকিৎসা পান না তিনিও ঢাকা মেডিকেল থেকে কখনো ফেরত যান না। নিজেদের সামর্থ্যের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করে যাচ্ছেন। তবে রোগীরা যাতে আরও ভালো সেবা পান, ডাক্তার-নার্সসহ চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবাইকে সেজন্য আরও সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি বলেন, ১৯৪৬ সালে ঢাকা মেডিকেল ২৫০ শয্যা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু ঢাকা মেডিকেলকে ১০৫০ শয্যায় উন্নীত করেন এবং ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঢাকা মেডিকেল কলেজকে ২৬০০ শয্যায় উন্নীত করেন। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ১২০টি আইসিইউ বেড আছে। এগুলো আরও বিস্তৃত করতে সরকার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দেশে যারা বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা করে তাদের নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এরা গুজব রটিয়ে ও নানা অপকর্মের মাধ্যমে সব সময় দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।

সভায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব, পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল আলম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসইউজে/কাজী আল আমিন/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।