তামাক নিয়ন্ত্রণে ৬টি ধারা শক্তিশালী করার সুপারিশ
![তামাক নিয়ন্ত্রণে ৬টি ধারা শক্তিশালী করার সুপারিশ](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/tobaco-1-20240521134122.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মাঝে দেশকে তামাকমুক্ত করার অঙ্গীকার করেছেন। এ নিয়ে তিনটি ধাপে কাজ করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তবে ডব্লিউএইচও এর তামাক নিয়ন্ত্রণ কনভেনশনের (এফসিটিসি) এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ছয়টি ধারা শক্তিশালী করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার (২১ মে) বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এ বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ হার্ট ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন
২০১৭ সালে প্রকাশিত গ্লোবাল এ্যাডাল্ট ট্যোবাকো সার্ভের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, বাংলাদেশের ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে থাকেন। যার ৪৬ শতাংশ পুরুষ এবং ২৫ দশমিক ২ শতাংশ মহিলা। তামাক ব্যবহারের মাঝে ১৮ শতাংশ ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন তামাক ২০ দশমিক ৬ শতাংশ। এছাড়া এই ধূমপায়ীদের কারণে আরও ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ কর্মক্ষেত্রে ও পাবলিক প্লেসে ও পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়।
আলোচনায় যে ৬ টি ধারা শক্তিশালী করতে বলা হয়েছে:
১. বর্তমান আইনের ধারা ৪ ও ৭ বিলুপ্ত করা। অর্থাৎ সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান (ডিএসএ)’ নিষিদ্ধ করা।
২. তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা।
৩. তামাক কোম্পানির যে কোন ধরণের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা।
৪. ই-সিগারেটের মতো এমার্জিং টোব্যাকো পণ্যসমূহ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা।
৫. তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট অথবা কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা।
৬. বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা।
আলোচনায় এই ৬ টি ধারা পরিবর্তনে বিষধ আলোচনা করা হয়।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের এপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, বিএইচআরএফের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সাংবাদিকরা।
এএএম/এসআইটি/এমএস