‘বায়ুদূষণে শিশু-বয়স্করা অ্যাজমায় বেশি আক্রান্ত’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৯ এএম, ২৯ মে ২০২৪

‘বর্তমানে বিশ্বের ২৬ কোটিরও বেশি মানুষ অ্যাজমায় ভুগছেন, যা বিশ্বের জনসংখ্যার আট থেকে ১০ শতাংশ। বায়ুদূষণ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। শিশু ও বয়স্করা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই অ্যাজমা রোগ সম্পর্কে চিকিৎসক, রোগী সবাইকেই সচেতনতা, অ্যাজমা শিক্ষা এবং এর চিকিৎসার অত্যাধুনিক তথ্য জানা প্রয়োজন।’

মঙ্গলবার (২৮ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিল্টন হলে অ্যাজমা (হাঁপানি) রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা, সর্বাধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া ও জনসচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ‘আপডেট অফ অ্যাজমা ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, অ্যাজমা রোগের চিকিৎসার পাশিপাশি রোগ প্রতিরোধ, রোগ নিয়ন্ত্রণসহ যথাযথ সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আরও বেশি করে কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুন

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ দেশের সব চিকিৎসক বিশেষ করে যেসব চিকিৎসক দেশের রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তাদের এই রোগ ও চিকিৎসা বিষয়ে সম্যক ধারণা ও চিকিৎসা সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে বিএসএমএমইউয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, গত এক দশক ধরে পালমোনারি হাইপারটেশন সোসাইটি এই রোগে আক্রান্তদের রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও সম্ভাব্য সব সহায়তা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে। মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে জটিল এই কন্ডিশনে আক্রান্ত অসহায় রোগীদের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এই সোসাইটি পালমোনারি হাইপারটেশনসহ বক্ষব্যাধি বিষয়ক রোগের সেবা দিতে অনন্য অবদান রাখছে।

এএএম/ইএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।