তীব্র গরমে জীবন অতিষ্ঠ। মাঝে মাঝে বৃষ্টির দেখা মিললেও গরম কমছে না, বরং বেড়ে যাচ্ছে। এই অসহ্য গরম থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো এয়ার কন্ডিশনারের ব্যবহার। এসি থেকে নির্গত ঠান্ডা হাওয়া স্বস্তি দিতে পারে। বাড়ি, অফিস সব জায়গাতেই চলছে এসি।
Advertisement
তবে যদি এসি ঠিকঠাক ভাবে ব্যবহার না করা হয়, তাহলে কিন্তু বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আজকাল খবরের শিরোনামেও উঠে আসছে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা। বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। আসলে ঠিকঠাক ভাবে ব্যবহার না করার ফলেই এসি ফেটে যেতে পারে।
জেনে নিন গরমে এসি ব্যবহারে কোন ভুলগুলো করবেন না- ফিল্টার অপরিষ্কার রাখাযদি কেউ এসি ব্যবহার করতে শুরু করেন, তাহলে তার নিয়মিত এর ফিল্টার পরিষ্কার করা উচিত। সেটা নিজে না করতে পারলে এসি মেকানিককে ডাকতে হবে। সাফ-সাফাই করার পরেই এসি ব্যবহার করতে হবে। কারণ নোংরা ফিল্টারের কারণে এসি-র ঠান্ডা করার ক্ষমতা বা কুলিং হ্রাস পায়। অতিরিক্ত গরম হতে শুরু করে এসি। আর ওভারহিটিং বা অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার জেরে এসি-র কম্প্রেসর ফেটে যেতে পারে। সেই কারণে সময়ে সময়ে পরিষ্কার করতে হবে এসি-র ফিল্টার।
টেম্পারেচার সেটিংয়ে ভুলঘরের তাপমাত্রা শিমলার মতো বরফ-শীতল না হলেও চলবে। মোটামুটি স্বস্তিদায়ক শীতল এক তাপমাত্রা বজায় রাখলেই হলো। তাই এসি-র তাপমাত্রা ২৪-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সেট করতে হবে। ২৪ ডিগ্রির তুলনায় কম তাপমাত্রায় এসি রাখা ঠিক নয়। আসলে ২৪-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা রাখলে বিদ্যুৎ তো সাশ্রয় হয়ই, সেই সঙ্গে এসি-র উপরেও চাপ পড়ে না। ফলে এসিতে বিস্ফোরণের আশঙ্কাও কমে যায়।
Advertisement
এসি চালানোর পাশাপাশি ঘরে সঠিক বায়ু চলাচল বজায় রাখা আবশ্যক। এটা ঠিক যে, ঘর বেশি খোলামেলা রাখলে ঠান্ডা হতে চায় না, তবে ঘরে এত বেশি ঠাসাঠাসিও করা উচিত নয়, যা দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করে। এসির পাশাপাশি ফ্যান চালিয়ে রাখা জরুরি। এতে ঠান্ডা বাতাস পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর এসির উপরেও চাপ কমে এবং ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়।
সরাসরি রোদের তাপ যেন না লাগে এসিতেযদি এসি সূর্যের দিকে মুখ করে বসানো হয়, অর্থাৎ যদি এসির উপর সূর্যের আলো সরাসরি ভাবে পড়ে, তাহলে এসি ঠান্ডা ঘর ঠান্ডা করতে বেশি সময় নেয়। এমনকি সূর্যের তাপের কারণে এসি অতিরিক্ত গরম হতে পারে। যা অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা বাড়ায়।
অতিরিক্ত চাপ একেবারেই নয়এসির অতিরিক্ত চাপ দেওয়া চলবে না। ঘরে বেশি মানুষ থাকলে এসির উপর চাপ বেশি পড়বে এবং এটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই বিষয়গুলি মাথায় রাখলে ব্যবহারকারী এসিকে নিরাপদ এবং টেকসই করে তুলতে পারেন।
সঠিক সময় সার্ভিসিং না করানোঅতিরিক্ত গরমের মধ্যে রাতের পাশাপাশি দিনের বেলাতেও এসি চলতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে সময়ে সময়ে এসি সার্ভিসিং করতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিশ্চিত করবে যে, এসি সঠিক ভাবে কাজ করছে এবং এতে কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি নেই। বহু সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির জেরে এসিতে আগুন ধরে যায়। আরও পড়ুন
Advertisement
কেএসকে/এমএস