সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৮৫ শতাংশ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
Advertisement
শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
প্রশাসক এজাজ বলেন, কোনো ওয়ার্ডেই শতভাগ বর্জ্য অপারেশন করা সম্ভব হয়নি। তবে রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ময়লা পড়ে নেই। প্রধান সড়কগুলোর পাশে সব ময়লা আমরা পরিষ্কার করেছি।
এরই মধ্যে আমরা ৭ হাজার ৮০০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে ডাম্পিং করেছে। যা কোরবানি উপলক্ষে উৎপন্ন হওয়া বর্জ্যে ৮৫ শতাংশ। আগামী দুদিন আমাদের বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম চলবে।
Advertisement
আগামীকাল আমরা ঢাকার প্রধান সড়কগুলো পরিষ্কার করে দেবো। ভেতরে এখন সম্ভব হবে না। কারণ ভেতরে এখনো অনেক গরু জবাই হবে। তবে প্রধান সড়ক একদম চকচকে থাকবে। আগামীকাল অনেকেই বের হবে আত্মীয়-স্বজন নিয়ে, বন্ধু-বান্ধবের বাসায় যাবেন। তারা যেন ঢাকাকে এনজয় করতে পারেন সুন্দর পরিবেশে, সেটার জন্য আমরা ঢাকাকে প্রস্তুত করবো।
আরও পড়ুন রাজধানীতে পশু কোরবানি চলছে ঢাকায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ শুরু গরুর লাথি-গুতা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ১২০ডিএসসিসি প্রশাসক বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মতৎপরতা এবং জনগণের সহায়তায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেশিরভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হয়েছে। আগামীকাল সকাল থেকে রাস্তার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হবে।
আমরা অনুমান করছিলাম এবছর কোরবানিতে মোট বিশ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হতে পারে। সে হিসাবে আমাদের ১০ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও প্রয়োজনীয় ট্রাক, পিকআপভ্যানসহ অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কোরবানির প্রথম দিনে প্রায় ৯ হাজার ২০০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে, যার মধ্যে ৭ হাজার ৮০০ টন কোরবানির বর্জ্য ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা উত্তরে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।
Advertisement
নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশাসক বলেন, এ বছর ডিএনসিসি থেকে সরবরাহ করা পলিব্যাগে কোরবানির বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে রাখায় সিটি করপোরেশনের কর্মীদের কাজ করতে সুবিধা হয়েছে। নগরবাসী এভাবে সহায়তা করলে পুরো কার্যক্রম খুব সহজে এবং দ্রুত সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, কিছু কিছু চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। কোরবানি এখনো হচ্ছে। আগামী তিনদিন যখনই হোক আমরা বর্জ্য অপসারণ করবো। সেটি সকাল হোক, বিকেল হোক বা রাত, আমাদের টিম সার্বক্ষণিক বর্জ্য অপসারণের কাজ করবে।
সেটা হলো আগে প্রতিটি বাসা থেকে যে ময়লা সংগ্রহ করা হতো, সেটা এক ধরনের রাজনৈতিক সেটেলমেন্ট। সেটা এখনো কোনো ধরনের সেফে আনা সম্ভব হয়নি। তাই আমাদের মধ্যে এক ধরনের ভয় কাজ করছিল এখানে কোনো ধরনের সাবোটাজ হয় কি না। সাবোটাজ যাতে না হয়, সে জন্য আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিলাম। তবে এটাকে আরও সহজ করে দিয়েছেন ঢাকার বাসিন্দারা।
তিনি বলেন, আমরা প্রথমে পরিকল্পনা করে ছিলাম তিনদিন পর থেকে কোরবানির পশুর হাট পরিষ্কার করবো। তবে আজ থেকেই আমরা পশুর হাট পরিষ্কার করার কাজ শুরু করে দিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমএএস/বিএ/এমএএইচ/