দিনাজপুর শহরের মোড়ে মোড়ে বসেছে বাসা-বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা কোরবানির মাংস বিক্রির হাট। সারাদিন বিভিন্ন বাড়ি থেকে চেয়ে মাংস সংগ্রহ করা ছিন্নমূল মানুষ সেখানে মাংস বিক্রি করছেন। এসব মাংস কিনছেন কোরবানি করতে না পারা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ।
Advertisement
শনিবার (৭ জুন) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত শহরের স্টেশন চত্বর, পৌরসভার সামনে রেলঘুন্টি মোড়, গোর-এ শহীদ ময়দানের দক্ষিণে সিএনবি মোড়, মহারাজার মোড়, বালুয়াডাঙ্গা মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ে চলে এসব মাংস কেনাবেচা। ৭৫০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকায় মাংস বিক্রি হয়।
সংগ্রহ করা মাংস বিক্রি করতে স্টেশনে এসেছিলেন বৃদ্ধ সাদেকুল ইসলাম (৬৫)। তিনি সকাল থেকে শহরে বাসা-বাড়িতে ঘুরে ঘুরে সাড়ে ৯ কেজি মাংস সংগ্রহ করেছিলেন। যার মধ্যে আট কেজি মাংস বিক্রি করে দেন ৭৫০ টাকা কেজি দরে। তিনি ছয় হাজার টাকার মাংস বিক্রি করে দেড় কেজি মাংস নিজের পরিবারের জন্য নিয়ে যান।
আরমান হোসেন (৩৫) নামে একজন পৌরসভার সামনে রেলঘুন্টি মোড়ে মাংস বিক্রি করতে আসেন। তিনি জানান, শহরের ঈদগাহ বস্তি এলাকায় জনৈক ব্যবসায়ীর বাড়িতে কোরবানির গরু কেটে দিয়েছেন। ওই ব্যবসায়ী তাকে গরু কাটার জন্য তিন হাজার টাকা ও পাঁচ কেজি মাংস দিয়েছেন। যার মধ্য থেকে তিন কেজি মাংস বিক্রি করেন ৮০০টাকা কেজিতে।
Advertisement
আলিমন বেওয়া মহারাজার মোড়ে বসে ছিলেন চার কেজির মতো মাংস নিয়ে। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন চালান। চার কেজি মাংস তিনি বিক্রি করেন তির হাজার টাকায়।
আব্দুর রহমান নামের এক ক্রেতা জানান, তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বড় ষাঁড় গরুর মাংস ইচ্ছে থাকলেও কিনতে পারেন না । পাশাপাশি কোরবানির মাংস ভালো মানের হয়। তাই তিনি মাংস কিনতে এসেছেন স্টেশনে। দুই কেজি ৭০০গ্রাম মাংস কিনেছেন ১৮০০ টাকায়। মাংস ভালো পেয়ে তিনি খুশি।
স্টেশনে ডিজিটাল পাল্লা নিয়ে বসেছেন কুদরত আলী নামে এক যুবক। তিনি বলেন, যারা মাংস মাংস বিক্রি করতে আসেন তাদের মাংস মাপা থাকে না। আবার অনুমান করে কিনতে গিয়ে ক্রেতারা ঠকে যান। মাপার জন্য পাল্লাও পাওয়া যায় না। তাই আমি ডিজিটাল পাল্লা নিয়ে বসেছি। মাংসের পরিমাণ যাই হোক মাপলেই ১০ টাকা করে নেই। এতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪ হাজার টাকার মতো আয় করেছি।
এমদাদুল হক মিলন/এমএন/জেআইএম
Advertisement