আন্তর্জাতিক

মণিপুরের পাঁচ জেলায় অনির্দিষ্টকালের কারফিউ, ইন্টারনেট বন্ধ

মণিপুরের পাঁচ জেলায় অনির্দিষ্টকালের কারফিউ, ইন্টারনেট বন্ধ

আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের মণিপুর। আরমবাই তেঙ্গোল (এটি) গোষ্ঠীর সদস্য কানন মেইতেইকে গ্রেফতারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ানোর পর রাজ্যে বিশনুপুর জেলায় শনিবার (৭ জুন) রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করেছে সরকার।

Advertisement

একইসঙ্গে, আরও চারটি জেলা—কাকচিং, থোউবল, ইম্ফল ইস্ট ও ইম্ফল ওয়েস্ট—জুড়ে চারজন বা ততোধিক মানুষের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি, পাঁচ জেলাতেই পাঁচ দিনের জন্য ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন>>

মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত ১০ মণিপুরে পুলিশের গুলিতে বিক্ষোভকারী নিহত, বিজেপি-কংগ্রেসের অফিসে আগুন ভারতের মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি

শনিবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) এবং মণিপুর পুলিশের যৌথ অভিযানে ইম্ফল ওয়েস্ট থেকে এটির কথিত ‘আর্মি চিফ’ কানন মেইতেইকে গ্রেফতার করা হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে পুলিশের গাড়িবহর থামিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি চালায়।

Advertisement

আরমবাই তেঙ্গোল হলো একটি সশস্ত্র চরমপন্থি মেইতেই গোষ্ঠী, যা ২০২৩ সালের ৩ মে রাজ্যে জাতিগত সংঘর্ষ শুরুর পর বিশেষভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে।

থোউবল জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, ইম্ফল ওয়েস্টে এটি’র সদস্য গ্রেফতারের প্রতিবাদে থোউবল জেলায় বিক্ষোভের আশঙ্কা রয়েছে, যা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে।

এজন্য জেলার মধ্যে চারজন বা ততোধিক ব্যক্তির জমায়েত, আগ্নেয়াস্ত্র, তরবারি, লাঠি, পাথর বা অন্যান্য অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ধরনের আদেশ ইম্ফলের আরও তিনটি জেলাতেও জারি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে শুরু হওয়া কুকি-জো ও মেইতেই জনগোষ্ঠীর সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জন নিহত হয়েছেন। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি মণিপুরে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা হয়।

Advertisement

এনআইএ এরই মধ্যে সহিংসতা ও পুলিশ অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুটের ঘটনায় অন্তত দুটি মামলা করেছে।

সূত্র: দ্য হিন্দুকেএএ/