ধর্ম

কোরবানির চামড়ার টাকা কি মসজিদে দান করা যাবে?

কোরবানির চামড়ার টাকা কি মসজিদে দান করা যাবে?

কোরবানির পশুর মাংস, চামড়া, হাড়, চর্বিসহ কোনো অংশ নিজে না খেলে বা নিজের কাজে ব্যবহার না করলে, হাদিয়া দেওয়া বা দান করার মতো কাউকে না পেলে তা শুধু সদকার নিয়তেই বিক্রি করা যায় এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত দরিদ্র কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে দিতে হয়।

Advertisement

চামড়াসহ কোরবানির পশুর কোনো অংশ বিক্রয়ের পর বিক্রয়লব্ধ অর্থ নিজের কাজে ব্যবহার করা যায় না, কোনো সম্পদশালী ব্যক্তিকে হাদিয়া হিসেবে দেওয়া যায় না, মসজিদেও দান করা যায় না।

কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য মসজিদে দান করা নাজায়েজ এবং এ টাকা মসজিদ নির্মাণের কাজে ব্যয় করাও নাজায়েজ।

মসজিদ নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনার ব্যয় মুসলমানদের নফল দান থেকে নির্বাহ করতে হয়। জাকাত, ফেতরা বা মানতের টাকাও মসজিদ নির্মাণ বা ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করা যায় না।

Advertisement

কোরবানির চামড়ার টাকা কি মাদরাসায় দেওয়া যায়?

যেসব মাদরাসা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে আবাসন, শিক্ষা ও খাদ্যের ব্যবস্থা করে, সেসব মাদরাসায় কোরবানির চামড়ার টাকা দান করা জায়েজ।

চামড়ার টাকা সংগ্রহের পর তা জাকাতের হকদার (যোগ্য) দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করা মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।

কোরবানির পশুর চামড়া নিজে ব্যবহার করা যাবে?

কোরবানির পশুর মাংস যেমন নিজে খাওয়া যায়, কোরবানির পশুর চামড়াও নিজে ব্যবহার করা যায়। কোরবানি দাতা যদি নিজের কোরবানির পশুর চামড়া ব্যবহার উপযোগী করে তা ব্যবহার করেন, তাহলে তা নাজায়েজ বা মাকরুহ হবে না।

কোরবানির পশুর চামড়া খাওয়া যাবে?

অনেকে পশুর চামড়া খেয়ে থাকেন। কোরবানিদাতা যদি কোরবানির পশুর চামড়া খেতে চান, তাহলে কোরবানির মাংসের মতোই তা নিজে খেতে পারবেন, পরিবার ও সম্পদশালী আত্মীয়স্বজনদেরও দিতে পারবেন। এটিও নাজায়েজ বা মাকরুহ নয়।

Advertisement

ওএফএফ/জেআইএম