ঈদুল আজহার ষষ্ঠদিন আজ। এখনো শেষ হয়নি সরকারি ছুটি। ঢাকার রাস্তায় এখনো মানুষের ভিড় নেই বললেই চলে। তবে ভিন্ন চিত্র রাজধানীর রমনা পার্কে। মানুষের পদচারণায় মুখরিত এই পার্ক। রমনার বৃক্ষতলে ও সবুজ ঘাসে জমে উঠেছে নগরবাসীর হাসি, গল্প, আর ঈদের আনন্দ।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সরেজমিনে রমনা পার্ক ঘুরে দেখা গেছে, রমনায় গাছের ছায়াতলে দল বেঁধে আড্ডা দিচ্ছেন রাজধানীর বিভিন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা মানুষ। কেউ বা হাঁটছেন রমনার ওয়াক ওয়েতে। কেউ কেউ পার্কেটের আঁকাবাঁকা পথে ধরে হেঁটে চলেছেন।
এছাড়া রমনার গাছগাছালি, খোলা মাঠ আর লেকের পাশে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সময় কাটাচ্ছেন নিজেদের মতো করে। দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একদিকে ফাঁকা শহর, অন্যদিকে ঈদের ছুটি; সবমিলিয়ে পরিবার, বন্ধু কিংবা প্রিয়জন নিয়ে এসেছেন কিছুটা প্রশান্তি খুঁজতে।
পার্কের নিরাপত্তাকর্মীরা বলছেন, ঢাকার অনেকেই গ্রামে যেতে পারেননি। ঈদুল আজহায় অনেকেই ঢাকায় ঈদ উদযাপন করেন। তাদের অনেকেই ঈদের ছুটিতে বাচ্চাদের নিয়ে কিংবা আড্ডা দিতে সবুজ এই প্রাঙ্গণে আসেন।
Advertisement
মিরপুর থেকে স্ত্রী ও পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন রুবেল হোসেন। মেয়ের হাতে বেলুন ও বাঁশি। তারা সময় কাটাচ্ছেন কাকরাইল মসজিদের পাশে রমনায় শিশুদের জন্য বিশেষ এই জায়গায়।
রুবেল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাড়ি যাওয়া হয়নি, তাই মেয়েকে নিয়ে এসেছি এখানে।’
রমনার দক্ষিণ পাশে গাছতলায় বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন চারজনের একদল যুবক। মিরপুর থেকে এসেছেন তারা। এসেছেন ছবি তুলতে। পার্কে প্রায়ই আসেন বলে জানান। ভেবেছেন এখন ছুটিতে মানুষ কম হবে। ছবি তোলার জন্য এখনই ভালো সময়।
তাদের একজন বিজয় তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘পার্কে ভালোই লাগছে। ওয়াকওয়েতে ছবি তুলছি। কিন্তু গরমে বিরক্ত লাগছে।’
Advertisement
আইসক্রিম, চিপসসহ বিভিন্ন খাবার নিয়ে কিশোর-কিশোরীদর হাঁটতে দেখা যায়। কেউ কেউ আবার মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে রিল বানাচ্ছেন, কেউ ছবি তুলছেন গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে।
ধানমন্ডি থেকে আসা এক নবদম্পতি জানান, যানজটের ভয়ে বের হন খুবই কম। কিন্তু এবারের ঈদে দারুণ লাগছে। অনেকদিন ছুটি। প্রতিদিন রাজধানীর কোথাও না কোথাও যাচ্ছেন। ভালোই লাগছে তাদের।
রমনার পার্কে ভাসমান জাম বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গরমের কারণে মানুষ কম আসছে। তা না হলে তো আরও মানুষ আসার কথা। অফিস-আদালত শুরু হলে এসব দর্শনার্থীও কমে যাবে। আবহাওয়া ভালো হলে সবার কাছে ভালো লাগতো।’
আরএএস/ইএ/জিকেএস