আন্তর্জাতিক

ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের মধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (১৪ জুন) মার্কিন নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

Advertisement

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস টমাস হাডনারকে পশ্চিম ভূমধ্যসাগর থেকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের দিকে যাত্রা শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী জাহাজকেও অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে হোয়াইট হাউসের অনুরোধে তা প্রস্তুত থাকতে পারে।

মার্কিন নৌবাহিনীর আরও যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউএসএস কার্ল ভিনসন, যা বর্তমানে আরব সাগরে রয়েছে ও এই অঞ্চলে একমাত্র মোতায়েনকৃত বিমানবাহী রণতরী। এছাড়া ইউএসএস নিমিটজ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এবং ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন সম্প্রতি জাপান ত্যাগ করেছে। প্রয়োজনে তাদেরও মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হতে পারে।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েলের পরমাণু স্থাপনা ও সামরিক নেতাদের ওপর হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, তা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।

Advertisement

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিমান ঘাঁটিগুলোতেও অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ এখনো গোপন সামরিক অভিযানের অংশ এবং প্রকাশ করা হয়নি।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় ৩০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন থাকলেও বর্তমানে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজারে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে যখন ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার পাশাপাশি ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের হামলাও বাড়ছিল, তখন মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে এই সংখ্যা ৪৩ হাজারে পৌঁছেছিল।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল হামলার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলকে রক্ষায় একাধিক যুদ্ধজাহাজ পাঠায়। এর উদ্দেশ্য ছিল ইরান ও ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে প্রতিরোধের বার্তা দেওয়া।

সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

Advertisement

এসএএইচ