চুয়াডাঙ্গায় ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। কয়েকদিন ধরেই উষ্ণতা আর আর্দ্রতার তীব্রতায় যেন হাঁসফাঁস অবস্থা। দিনে সূর্য তেতে উঠছে, আর রাতে মিলছে না স্বস্তি।
Advertisement
ঈদের পর থেকেই মূলত এই তাপপ্রবাহ চলমান। ৩৫-৩৮ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। তবে বেশি আদ্রতার গরম অনুভূত হচ্ছে ৪০-৪২ ডিগ্রির মতো। আর এই কারণে সবচেয়ে বেশি ভুগছেন রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ফল বিক্রেতা ও দিনমজুররা।
তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আজ রোববার থেকে ভারি বৃষ্টিপাতে সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর্দ্রতা ৫৮ শতাংশ। একইদিন দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি এবং আর্দ্রতা ৬২ শতাংশ। শুক্রবারও একই অবস্থা। দুপুরে তাপমাত্রা ছিল ৩৫.০ ডিগ্রি, বিকেলে বেড়ে হয় ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর্দ্রতা নেমে আসে ৫৩ শতাংশে।
Advertisement
রিকশাচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, গরমে এত কষ্ট হয় যে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। যাত্রী নাই, আয় নাই। রিকশায় ছাতা লাগালেও গরমের হাত থেকে বাঁচা যায় না।
মিরাজুল ইসলাম বললেন, এই গরমে ঠান্ডা কিছু খাওয়ার মানুষ থাকলেও রাস্তায় কেউই আসে না। বেচাকেনা প্রায় বন্ধ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন। আজ-কালের মধ্যেই ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বেশি আর্দ্রতার কারণে গরম আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন পরামর্শ দিয়েছেন, এই সময়ে বেশি পানি পান করা, সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলা ও ঠান্ডা খাবার খাওয়ার মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া সম্ভব।হুসাইন মালিক/জেডএইচ/
Advertisement