৬ বছরের শিক্ষার্থীর গুলিতে আহত শিক্ষিকা, ক্ষতিপূরণ ১ কোটি ডলার
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে এক স্কুলশিক্ষিকাকে গুলি করে আহত করেন ৬ বছরের এক শিক্ষার্থী। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ভার্জিনিয়ার নিউপোর্ট নিউজ শহরের রিচনেক এলিমেন্টারি স্কুলে এই ঘটনা ঘটে। এতে আহত সেই শিক্ষিকাকে ১ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায় দিয়েছে ভার্জিনিয়া আদালতের একটি জুরি বোর্ড। গুলিতে আহত হওয়া ওই শিক্ষিকার নাম অ্যাবিগেইল জওয়েরনার।
বিবিসি’র তথ্য মতে, ক্লাস চলাকালে ওই শিশু শিক্ষার্থী জওয়েরনার দিকে বন্দুক তাক করে একবার গুলি চালায়। গুলিটি জ়ওয়েরনারের হাতে লাগার পর তার বুক ভেদ করে যায়। এই ঘটনায় ২০২৩ সালেই আহত জ়ওয়েরনার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এবনি পার্কার এর বিরুদ্ধে ৪ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণের মামলা করেছিলেন। এছাড়া শিশুটির থেকে আগ্নেয়অস্ত্র হেফাজত করে না রাখায় তখন শিক্ষার্থীর মায়ের ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই শিশুটি বন্দুক নিয়ে স্কুলে এসেছে এমন খবর পাওয়ার পরও প্রধান শিক্ষিকা পার্কার কোনো পদক্ষেপ নেননি। এছাড়াও জওয়েরনার একাধিকবার পার্কারকে জানিয়েছিলেন যে ওই শিশুটি মানুসিকভাবে উত্তেজিত অবস্থায় আছে এবং শ্রেণীকক্ষের অন্য এক শিশুকে হুমকি দিয়েছে। কিন্তু পার্কার এসব সতর্কতার পরেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি।
মামলার অভিযোগে আরও দাবি করা হয়, পার্কার ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে অবহেলা’ করেছেন যা ‘মানবজীবনের প্রতি বেপরোয়া উদাসীনতা’ প্রদর্শন করেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সাত সদস্যের জুরি বোর্ড সর্বসম্মতিক্রমে রায় দিয়েছে যে, গুলি চালানোর প্রায় ৪৫ মিনিট আগে শিশুটির কাছে অস্ত্র থাকতে পারে বলে প্রধান শিক্ষিকা পার্কারকে জানানো হয়েছিল। তবে এমন তথ্য পাওয়ার পরেও পার্কারের নিষ্ক্রিয়তা ছিল ‘চরম অবহেলার উদাহরণ’।
শিক্ষিকা অ্যাবিগেইল জওয়েরনার তখন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন এবং তাকে একাধিক অস্ত্রোপচার করতে হয়। আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমি মারা গেছি।’
কেএম