জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১১ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প। মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের জন্য তিনি দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

মার্কিন সরকারের অচলাবস্থা রোধে সীমান্তে নিরাপত্তা বিলে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে মার্কিন সামরিক ফান্ড ব্যবহার করে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ করতে চান ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ক্ষমতার অপব্যবহার ও আইনের অপব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ এনেছেন ডেমোক্রেটের শীর্ষ নেতারা। ট্রাম্প সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণকে বেশি জোর দিচ্ছেন কারণ নির্বাচনী প্রচারণায় এ বিষয়ে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এটা তার নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল।

তবে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে যে অর্থ বরাদ্দ দাবি করেছেন সে পরিমাণ অর্থ আদায় সম্ভব হচ্ছে না। সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ১৩০ কোটি ডলার অর্থ বরাদ্দ দেয়ার বিষয়ে কংগ্রেসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডেমোক্রেটরা।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুরু থেকেই সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য ৫৭০ কোটি ডলার বরাদ্দ চেয়ে আসছেন। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে একটি বিল পাস হয়েছে। এখন ওই বিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্বাক্ষর করলেই তা আইনে পরিণত হবে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আবারও মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ, সীমান্ত রক্ষা এবং আমাদের দেশকে সুরক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা এবং মানবিক সংকট নিরসন নিশ্চিত করতে তিনি জরুরি অবস্থা জারিসহ বেশ কিছু নির্বাহী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।

মার্কিন সরকারের ফেডারেল এজেন্সিগুলো চালিয়ে নেয়ার জন্য শুক্রবারের মধ্যেই এই বিলে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর প্রয়োজন।গত মাসে হওয়া তিন সপ্তাহের চুক্তির সময়সীমা শুক্রবারই শেষ হয়ে যাবে। এর আগে একটানা ৩৫ দিন অচলাবস্থা কাটাতে হয়েছে ট্রাম্প সরকারকে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটাই ছিল সর্বোচ্চ অচলাবস্থা।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।