চীনের সমস্ত ফ্লাইট বন্ধ করেছে ভিয়েতনাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪৭ পিএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চীন থেকে যাতায়াতকারী সমস্ত ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে প্রতিবেশী ভিয়েতনাম। এছাড়া মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে শনিবার জরুরি জনস্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে দেশটির সরকার। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ খবর জানানো হয়েছে।

ভিয়েতনাম সরকার এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে, বিগত দুই সপ্তাহের মধ্যে চীন ভ্রমণ করেছেন এমন বিদেশি পর্যটকদের ভিসা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ভিয়েতনাম থেকে চীনের মধ্যে চলাচলকারী সকল ফ্লাইট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চীন ছাড়াও এ তালিকায় রয়েছে হংকং, তাইওয়ান ও ম্যাকাও।

তবে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরে এক বিবৃতিতে জানায়, ভিয়েতনামের সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছে তারা। বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার যে ঘোষণা এসেছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভিয়েতনাম। তাইওয়ানের সর্ববৃহৎ ক্যারিয়ার চায়না এয়ারলাইন্স ঘোষণা দিয়েছে, হ্যানয়ে তাদের বিমান চলাচল এখন স্বাভাবিক।

ভিয়েতনামের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, তাইওয়ানের সঙ্গে বিমান চলাচল শুরু হলেও চীনের মূল ভূখণ্ড, হংকং ও ম্যাকাওয়ের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ এখনো বাতিল রয়েছে। ভিয়েতনামে অন্যতম বিনিয়োগকারী হলো তাইওয়ান। বিগত তিন দশকে তারা দেশটিতে ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

এছাড়া চীনের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করার প্রেক্ষিতে রোমের সঙ্গে রাজধানী তাইপের বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি তাতে হতাশ তাইওয়ান। তবে আগামীকাল সোমবার থেকে তাইওয়ানের সর্ববৃহৎ বিমান পরিবহন সংস্থা চায়না এয়ারলাইনস আটকা পড়া যাত্রীদের পরিবহনের সুযোগ পাচ্ছে।

করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করেছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে বিস্তার লাভ করা এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত চীনে অন্তত ৩০৪ জন মারা গেছেন। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন আরও প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। তবে তাইওয়ানে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখনও ১০ জন।

এসএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।