বেইজিংয়ে একসঙ্গে খাবার খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩০ জনে। তার মধ্যে চীনের হুবেই প্রদেশেই মারা গেছে ৬১৮ জন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনসহ গোটা বিশ্ব বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে অনেক ব্যাপারেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চীনা প্রশাসন। দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে একসঙ্গে অনেক মানুষকে খাবার খাওয়ার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে- জন্মদিনের পার্টি, বিয়ের অনুষ্ঠান কিংবা হলঘরে একসঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া করা যাবে না। সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করলে দ্রুত করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই নিয়ম চালু করা হয়েছে বেইজিংয়ে। ফলে বিশেষ অনুষ্ঠান বা ইভেন্টগুলো বাতিল করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার নতুন নিয়ম মেনে স্থানীয় সব অনুষ্ঠানই বাতিল করা হয়। শুধু অনুষ্ঠানের ওপরই নয়, সব ধরনের পার্টিও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে খাবার আদান-প্রদানেও। এই খাবার দেয়া-নেয়ার মধ্যে দিয়েও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। মহামারির আশঙ্কায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই চীন থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়া এ ভাইরাস ঠেকাতে চীন-ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
বিশ্বের অনেক দেশই ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে চীন থেকে আগতদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বেশিরভাগ এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো চীনগামী ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব থেকে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চীন।
বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও ভয়াবহ কোপ পড়েছে হুবেই প্রদেশে। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে চীনসহ বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত এবং প্রাণহানি যত হয়েছে তার ৯৭ শতাংশ হুবেইতে এবং সব রোগীর ৬৭ শতাংশও সেখানকার।
এমএসএইচ/এমএস