সার্সকে ছাড়িয়েছে করোনা
২০০২-০৩ সালে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ভাইরাসকে ছাড়িয়েছে করোনা। ওই সময় ২৫টি দেশে আট মাসে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮০৯৮ জন এবং প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭৭৪ জন। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অনেক আগেই সার্সকে ছাড়িয়েছে করোনাভাইরাস।
মঙ্গলবার পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, চীনের উহান থেকে উৎপন্ন হওয়া করোনাভাইরাসটি ৩০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৯১০ জন। আগামীকালের মধ্যে এই সংখ্যা হাজার ছাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা এ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও এখন ৪৫ হাজারের বেশি।
চীনের জাতীয় হেলথ কমিশনের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ১৭১ জন। এ ছাড়া ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫১৮ জন চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ হাজার ২৮১ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এ ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এবং প্রাণহানি বাড়তে থাকায় বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরপর এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশগুলো ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে হাসপাতাল নির্মাণ, করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট আবিষ্কারে সরকারি অনুমোদনসহ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আতঙ্কে জনমানবশূন্য ভৌতিক এলাকায় পরিণত হয়েছে দেশটির একেকটি গ্রাম ও শহর।
চীন থেকে ভারতেও ঢুকে পড়েছে করোনাভাইরাসের থাবা। কেরালায় তিনজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে দক্ষিণের রাজ্যে। পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। ইতোমধ্যেই ৬০০-রও বেশি মানুষকে বিশেষ দুটি বিমানে চীন থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে।
এদিকে কোনো কোনো দেশ চীনা নাগরিকদের নিজ দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মাত্র ৩৫ দিনেই চীনের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ রয়েছে এমন দেশের অর্থনীতিও ঝুঁকিতে পড়েছে।
এমআরএম