করোনাভাইরাসে ব্যাপক ক্ষতির মুখে সিঙ্গাপুরের পর্যটন শিল্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৯ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

করোনাভাইরাসের কোপ পড়েছে চীনের প্রতিবেশী সিঙ্গাপুরের অর্থনীতিতে। সিঙ্গাপুর পর্যটন বোর্ড (এসটিবি) জানিয়েছে, চলতি বছরে দেশে পর্যটকের সংখ্যা কমবে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। এর আগে ২০০৩ সালে চীনের সার্স ভাইরাসের কারণে সর্বোচ্চ ১৯ শতাংশ পর্যটক কমেছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটির।

দেশটির জাতীয় দৈনিক স্ট্রেইট টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিঙ্গাপুর পর্যটন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেইথ তান আজ মঙ্গলবার বার্ষিক পর্যালোচনায় বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে চলতি বছরের পরিস্থিতি কমপক্ষে সার্সের মতো তীব্র হবে। এর চেয়েও আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

চীনের করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সহস্রাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া বিশ্বব্যাপী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪২ হাজারের বেশি মানুষ। এমন পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে কেইথ তান বলেন, ‘আমাদের হিসাব মতে বর্তমান সময়ে আমরা প্রতিদিন গড়ে ১৮ থেকে ২০ হাজার বিদেশি পর্যটক হারাচ্ছি ‘

এসটিবির সিইও জানিয়েছেন, এই অবস্থার পরিবর্তন মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে। প্রথমত: আর কতদিন এই মহামারি থাকবে এবং এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে এর প্রভাব কেমন হবে। দ্বিতীয়ত: সিঙ্গাপুরসহ এই অঞ্চলের বাকি দেশগুলোতে কতদিন এই অবস্থা থাকবে। তৃতীয়ত: পর্যটকের সংখ্যা স্বাভাবিক হতে কতটা সময় লাগতে পারে।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সিঙ্গাপুরে এ পর্যন্ত ৪৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন, চীনের মূল ভূখন্ডের পর যা সর্বোচ্চ। ফলে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুর ভ্রমণের ব্যাপারে আস্থাহীনতা দেখা দিয়েছে গোটা বিশ্বের মানুষের। তান বলেছেন, ২০০৩ সালের পর সিঙ্গাপুররের পর্যটন শিল্প এতবড় চ্যালেঞ্জের মুখে আর পড়েনি।

চীন থেকে বিশ্বের ত্রিশটির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবার একদিনে আরও ১০৮ জন মারা যাওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৬ জন। গত ৩১ ডিসেম্বর প্রথমবার শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এটাই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড।

এসএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।