করোনা আক্রান্ত বাংলাদেশির পরিবারকে ১০ হাজার ডলার দিচ্ছে সিঙ্গাপুর
সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৯ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি শ্রমিকের পরিবারকে ১০ হাজার ডলার অনুদান দেওয়া ঘোষণা দিয়েছে দেশটির অভিবাসী শ্রমিক কেন্দ্র (এমডব্লিউসি)। টেলিগ্রাফিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় এই অর্থ বাংলাদেশে তার পরিবারের কাছে পাঠাবে তারা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ওই শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
সিঙ্গাপুরের ইংরেজি ভাষার জাতীয় দৈনিক দ্য স্ট্রেইট টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশি ওই শ্রমিকের চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান ই-কি ইনোভেশন্স; দ্য লিও ডরমেটরি অপরাটের মিনি এনভায়রোনমেন্ট সার্ভিসেস এবং দেশটির অভিবাসী শ্রমিক কেন্দ্র (এমডব্লিউসি) যৌথভাবে এই অর্থ বরাদ্দ করেছে।
দেশটির কাকি বুকিত এলাকায় অবস্থিত দ্য লিও ডরমেটরিতে বাংলাদেশি ওই শ্রমিকের চিকিৎসা চলছে। চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে সিঙ্গাপুরে ৪২ তম ব্যক্তি হিসেবে তিনি প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে ইতোমধ্যে ২ হাজার ৬২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত মানুষে সংখ্যা ৮০ হাজার ছুঁই ছুঁই।
সিঙ্গাপুরের অভিবাসী শ্রমিক কেন্দ্র (এমডব্লিউসি) সোমবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে জানায়, ‘পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় তার (আক্রান্ত বাংলাদেশি শ্রমিক) পরিবারের জন্য এটা এক কঠিন পীড়াদায়ক সময়। তারা এখন কিছুটা সময়ের জন্য হলেও স্বস্তি পাবে।’
দেশটির অভিবাসী শ্রমিক কেন্দ্র বলেছে, বাংলাদেশি ওই শ্রমিক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরপরই তারা তার চাকরিদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এছাড়া তার শারীরিক অবস্থার হালনাগাদ (আপডেট) তথ্য সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবারকে জানানো হচ্ছে। মূলত এই সংকটের মুহূর্তে পরিবারের দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহের জন্য অনুদান দেয়া হয়েছে।
করোনা আক্রান্ত অভিবাসী শ্রমিকদের সকল ধরনের চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করছে দেশটির সরকার। তিনি ছাড়াও আরও চারজন বাংলাদেশি শ্রমিক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ওই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এমডব্লিউসি জানিয়েছে, আরও অনেকের কাছ থেকে অর্থ সহায়তার আবেদন পেয়েছে তারা।
সংস্থা আরও জানিয়েছে, যদি এসব শ্রমিকের অবস্থা আরও অবনতির দিকে যায় তাহলে তারা সর্বস্তরের মানুষের সহায়তায় একটি তহবিল গঠনের কথাও বিবেচনায় রেখেছে। অভিবাসী শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে বেসরকারি এই সংস্থাটি।
এসএ/জেআইএম