করোনাভাইরাস আতঙ্কে আয়ারল্যান্ডের স্কুল বন্ধ
চীনের হুবেই প্রদেশ ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে একটি স্কুল ১৪ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই স্কুলের একজন শিক্ষার্থীর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। তাকে ডাবলিনের একটি হাসপাতালে সংক্রমণ-নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উত্তর আয়ারল্যান্ডের এক নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এর দুই দিন পর শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) প্রজাতন্তের আয়ারল্যান্ডে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। তবে তারা দুজনেই সম্প্রতি ইতালি সফর করেছিলেন বলে জানা গেছে।
আয়ারল্যান্ডের প্রধান চিকিত্সা কর্মকর্তা ডা. টনি হোলোহান বিবিসিকে বলেন, জনস্বাস্থ্য চিকিৎসকরা জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইতালির। দেশটিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত ইতালিতে ১৬৯৪ জন করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। আর দেশটিতে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপের মধ্যে ইতালিতেই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে মারাত্মক। ইতালির পরিস্থিতি দেখে প্রতিবেশী সব দেশ ইতোমধ্যে সীমান্ত বন্ধ করেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর থেকে বিশ্বের ৫৬টি দেশে এ করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের বিস্তারে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে মহামারির শঙ্কা প্রকাশ করেছে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৯৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৮৬ হাজার ৫২৯ জন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ৪১ হাজার ৯৫৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৮২৪ জন। অপরদিকে, মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮৭০ জনের। দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ১৫০ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।
এমএসএইচ