স্ত্রীর কাশি, স্বামীর দাবি তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম করোনা রোগী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৫ পিএম, ০৩ মার্চ ২০২০

 

যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎই বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সাধারণ নির্বাচনকে হটিয়ে গত কয়েকদিনে দেশটিতে আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে ভাইরাস ইস্যু। এর মধ্যেই নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিয়াক। ৬৯ বছর বয়সী এ ব্যক্তি দাবি করেছেন, তিনি ও তার স্ত্রীই সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোভিড-১৯ রোগী।

মূলত সোমবার ওজনিয়াকের এক টুইটের পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। এতে তিনি জানান, মাস দুয়েক আগে এ দম্পতি চীন থেকে ফিরেছেন। তখন থেকেই কাশির সমস্যার কারণে ওজনিয়াকের স্ত্রী জ্যানেট চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেদিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তারাই করোনাভাইরাসের ‘পেশেন্ট জিরো’ (প্রথম রোগী বা বাহক) হতে পারেন।

তবে বিষয়টি নাকোচ করে দিয়েছেন ওজনিয়াকের স্ত্রী। তিনি মার্কিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার অসুখ মূলত সাইনাসে সমস্যার কারণে। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন।

অ্যাপল কর্মকর্তার ওই পোস্ট ছিল মূলত সোয়ার্ম অ্যাপের একটি চেক-ইন থেকে, পরে সেটি টুইটারে শেয়ার করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, ওজনিয়াক ও জ্যানেট ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়েস্ট কোস্ট স্পোর্টস ইনস্টিটিউটে ছিলেন। তবে, তারা কবে চীনভ্রমণ করেছেন তার উল্লেখ নেই ওই পোস্টে।

jagonews24

এছাড়া ওজনিয়াকের আগের সোয়াম্প অ্যাপ পোস্টগুলোতে গত ২৭ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিয়েতনামে তিনটি চেক-ইন দেখা যায়। সেখানেও চীনের কোনও কথা নেই। গত ৯ জানুয়ারি স্টিভ ওজনিয়াক ক্যালিফোর্নিয়ার বাসায় থেকে এক পোস্টে জানান, ভ্রমণের সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরই মধ্যে বিশ্বের অন্তত ৭৬টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এতে শুধু চীনেই মারা গেছেন ২ হাজার ৯৪৩ জন, আক্রান্ত ৮০ হাজার ১৫১।

যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত অন্তত ১০২ জনের শরীরে ধরা পড়েছে এনসিওভি-১৯, মারা গেছেন ছয়জন। দেশটির অন্তত ১০টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।

চীনের বাইরে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায় ও মৃত্যু ইরানে। দক্ষিণ কোরিয়ায় অন্তত ৪ হাজার ৮১২ জন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২৮ জন। ইরানে আক্রান্ত ১ হাজার ৫০১, মৃত্যু ৬৬ জনের। এছাড়া ইতালিতে ২ হাজার ৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৫২ জন।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার ৮৯৯ জন। এতে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৩ হাজার ১১৬ জন। এছাড়া, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।

সূত্র: ডেইলি মেইল, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

কেএএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।