স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে গেলেন মার্কিন দুই আইনপ্রণেতা
এবার প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কবলে পড়লো মার্কিন কংগ্রেস। করোনা আক্রান্ত হতে পারেন, এমন সন্দেহের পর দেশটির ক্ষমতাসীন দল রিপাবলিকানের একজন সিনেটর এবং নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের এক সদস্য স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে গেছেন। মার্কিন গণমাধ্যমে এ খবর জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগীর সংস্পর্শে আসার পর এই দুই আইনপ্রণেতা এখন স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার ‘কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল একশন কনফারেন্সে’ কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে আসার পর তারা নিজেরাই এমন ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে’ যাওয়া ওই দুজন মার্কিন আইনপ্রণেতা হলেন দেশটির টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সিনেটর টেড ক্রুজ এবং অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য পল গোসার। তারা দুজনই ক্ষমতাসী দল রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত।
তবে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে দেখা গেছে ওই দুই সিনেটরের কেউই এখনো করোনায় সংক্রমিত হননি। ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণও আপাতত তাদের মধ্যে নেই। কিন্তু আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সাবধানতার সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
কংগ্রেসনাল লিডারশিপ অফিস বলছে, এই মুহূর্তে কংগ্রেসের শিডিউলে (স্বাভাবিক কার্যক্রম) কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। তবে অনেক আইনপ্রণেতা ক্রমবর্ধমান এই সংকট নিয়ে তাদের দলের নেতাদের নানা প্রশ্ন করছেন এবং এ নিয়ে তাদের উদ্বেগ ও এই প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আলোচনা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫৪ জন। রোববার মৃত্যু হয়েছে আরও দুজনের। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ জনে। এদিকে ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে আটকে রাখা করোনা সংক্রমিত একটি প্রমোদতরীতে আটকা পড়েছেন সাড়ে তিন হাজার মানুষ।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে অনুযায়ী, ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ৩০টিতেই করোনাভাইরাস বিস্তার লাভ করেছে। সর্বশেষ অঙ্গরাজ্য হিসেবে ওরেগন জরুরি অবস্থা জারি করেছে। এদিকে ক্যালিফোর্নিয়া ও নিউইয়র্কের ৬ কোটি মানুষ এখন সংকটকালীন পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছেন।
চীনের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে লক্ষাধিক মানুষ এখন আক্রান্ত। শতাধিক দেশে বিস্তার লাভ করা কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা এখন ৩ হাজার ৮১৬ জন। চীনের পর ৩৬৬ মত্যৃ নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে ইতালি। ইরানে মৃতের সংখ্যা ১৯৪।
এসএ/এমএস