করোনায় বিপর্যস্ত ইতালিতে ভূমিকম্পের আঘাত
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ইতালির উত্তরাঞ্চলের তুসকানি অঞ্চলে মৃদু মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।
ইতালির ভূতত্ত্ব ও আগ্নেয়গিরিবিষয়ক ইনস্টিটিউট বলেছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে তুসকানি অঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ২ দশমিক ৬ মাত্রা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আনসা ক্রোনিক্যাল বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল তুসকানির লুসা প্রদেশে পাঁচ মাইল ভূগর্ভে। প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পের আঘাতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে তুসকানির ক্যামাইওর ও পার্শ্ববর্তী ভায়ারেগিও অঞ্চলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এই ভূমিকম্প যখন আঘাত হানে, তখন ভার্সিলিয়া অঞ্চলের আতঙ্কিত লোকজনও বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।
ইতালিতে এমন এক সময় এই ভূমিকম্প আঘাত হানল; যখন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে দেশটিতে। চীনে ৩ হাজার ১৩৬ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতালিতে মারা গেছেন ৪৬৩ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে বেইজিং। তবে চীনের পর এখন করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ বিস্তার ঘটেছে ইতালিতে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ১৭২ জন।
সোমবার রাতে নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রত্যেকেই কিছু না কিছু ত্যাগ করবেন বলে মন্তব্য করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুসেপে কন্তে। একই সঙ্গে পুরো ইতালিকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করে সব ধরনের জনসমাগম বাতিল এবং বাড়িতে অবস্থান করতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় লম্বার্ডি প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, দ্রুতগতিতে ভাইরাসের বিস্তার ঘটতে থাকায় হাসপাতালে বিছানা সঙ্কট শুরু হয়েছে। বিশেষ করে আইসিইউতে। পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে দেশটির সরকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চিকিৎসকদের পুনরায় স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার কাজে ডেকেছে। একই সঙ্গে ২০ হাজার অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীকেও কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সূত্র : ডেইলি মেইল।
এসআইএস/জেআইএম