চীনের আদলে হাসপাতাল বানাচ্ছে রাশিয়াও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫৮ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাস যখন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছিল তখন এক সপ্তাহের কম সময়ে হাসপাতাল নির্মাণ করে চীন। বেশি কিছু হাসপাতাল তৈরি করে তারা। এবার চীনের কাছে অনুপাণিত হয়ে ইউরোপের দেশ রাশিয়াও একইরকম হাসপাতাল বানাচ্ছে—যদিও দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলের অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মস্কো কর্তৃপক্ষ ৯২ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে দ্রুতগতিতে এসব হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু করেছেন। ইউরোপে যেভাবে করোনাভাইরাস বিস্তার লাভ করছে তা ঠেকাতেই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বের বড় এ দেশ।

ভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও দেশটির রাজধানী শহর মস্কোর মেয় সের্গেই সোবানিয়ান স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা সুবিধা বৃদ্ধির এ ঘোষণা দিয়েছেন। কোভিড-১৯ রোগী বাড়তে পারে এমন শঙ্কায় ক্রেমলিন থেকে ৪০ মাইল দূরে অন্তত ৮০০ ফুট হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

করোনাভাইরাসের দ্রুত বিস্তারে এসব হাসপাতাল তৈরির ঘোষণা দিয়ে মস্কোর মেয়র বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে চাই যেন এটা স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর কোনো ঝুঁকি তৈরি করতে না পারে। আমি আপনাদের আমার এই সিদ্ধান্ত উপলব্ধি করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

Russia

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি এই মেয়র জানিয়েছেন, গোটা দেশে যে ৩৪ জন করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এরমধ্যে ২৩ জনই মস্কো শহর এবং এর আশপাশের বাসিন্দা। তবে করোনাভাইরাসে কোনো মৃত্যুর ঘটনা এখনো দেশটিতে ঘটেনি।

করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে ইতোমধ্যে রাশিয়ার রাজধানী শহরের দুটি হাসপাতালের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর একটি হলো কোম্মুনারকা হাসপাতাল এবয় দ্য ইনফেকশিয়াস ডিজিজ ক্লিনিক্যাল হাসপাতাল নাম্বার ওয়ান।

এসব হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের খবর নিশ্চিত করেছেন মস্কো নগর উন্নয়ন নীতি ও নির্মাণ কর্তৃপক্ষ। এর আগে জরুরিভিত্তিতে ছয়দিনে ১ হাজার সজ্জার হাসপাতাল তৈরি করে চীন। এমন বেশি কয়েকটি হাসপতাল তৈরি হয় করোনার উৎপত্তিস্থল উহানে। অবশ্য এখন সেসব হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।