পশ্চিমবঙ্গে সব স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ১৬ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর।
কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছাড়া স্থগিত করা হয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষাও। তবে উচ্চ মাধ্যমিকসহ সিবিএসই এবং আইএসই-র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অবশ্য ইতোমধ্যে বহু স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানিয়েছেন, আগামী ৩০ মার্চ ফের পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতেই এ পদক্ষেপ। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জনস্বার্থেই এমন সিদ্ধান্ত। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।
রাজ্য সরকার বলছে, নভেল করোনাভাইরাস বিস্তার ছড়িয়ে পড়ার পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু), জাতিসংঘ এবং কেন্দ্রীয় সরকার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার ভিত্তিতেই রাজ্য সরকার স্কুল-কলেজ-মাদরাসা-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতার পরে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘চিন্তার কোনও কারণ নেই। এ রাজ্যে তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। সে কথা মাথায় রেখেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও বাড়ি থেকে কাজ করতে অনুরোধ করছি।’
করোনার বিস্তার ঠেকাতে এর আগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। দিল্লিতে বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ। পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং খড়্গপুর আইআইটির মতো প্রতিষ্ঠানও বন্ধ। মমতার সরকারও সেই পথেই হাঁটল।
মুখ্যমন্ত্রী এ নিয়ে বলেন, ‘শিশুদের সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্যানিটাইজার বা টিসু দিলেও তো শিশুরা ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারে না। অনেক সময়ই ওরা বুঝে উঠতেই পারে না যে, ঠিক কী করতে হবে। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এসএ/জেআইএম