করোনায় আক্রান্ত যে বিশ্বনেতারা
বিশ্বের অনেক রাজনীতিবিদ ও তাদের পরিবারের সদস্যরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের মধ্যে চলতি সপ্তাহেই অনেকের শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরও অনেকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কথা বলেছেন। সবার তালিকাটা দেখে নেওয়া যাক।
যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন এমন গুজব চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছিল। করোনায় আক্রান্ত ব্রাজিল প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এমন শঙ্কা তৈরি হয়। তবে হোয়াইট হাউসে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের শরীরে করোনার উপস্থিতি নেই।
তবে দেশটির মিয়ামি শহরের মেয়র করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পর দেশটির ৯ জন আইনপ্রণেতা ‘সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে’ চলে গেছেন। এদের মধ্যে মার্কিন কংগ্রেসের সিনেটর ও প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য রয়েছেন।
কানাডা: দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রডোর স্ত্রী সোফি গ্রেগরি ট্রুডো করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। স্ত্রীসহ ট্রুডো এখন আইসোলেশনে রয়েছেন। ট্রুডো বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাজ চালিয়ে যাবেন। তার শরীরের করোনার কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি এবং করোনা পরীক্ষাও করাননি তিনি।
ফ্রান্স: দেশটিতে চারজন রাজনীতিবিদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে; এরমধ্যে একজন আইনপ্রণেতা, পার্লামেন্টের এক কর্মী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী, বাস্তুসংস্থান এবং অন্তর্ভুক্তি মন্ত্রীর প্রতিমন্ত্রী সেক্রেটারিও রয়েছেন। তাদের সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্পেন: গতকাল স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তারা দুজনই এখন ভালো অবস্থায় রয়েছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ মেনে চলছেন তারা। ইউরোপের ইতালির পর স্পেনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে ভাইরাসটির।
ব্রাজিল: ব্রাজিলের যে প্রতিনিধি দল সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন তাদের মধ্যে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্টর প্রেস সেক্রেটারি, একজন সিনেটের ও ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ব্রাজিলের সহকারী রাষ্ট্রদূত।
যুক্তরাজ্য: দেশটির জুনিয়র স্বাস্থ্যমন্ত্রী সম্প্রতি নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্তের আগে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সম্প্রতি তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাই এখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফিলিপাইন: দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পর তিনি ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হতে পারেন বলে শঙ্কা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার করোনা পরীক্ষা করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। কিন্তু প্রেসিডেন্টের শরীরের করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়নি।
ইরান: দেশটির পার্লামেন্টের ৮ শতাংশ রাজনীতিবিদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তথ্য অনুযায়ী, ইরানের ২৯০ আসনের পার্লামেন্টের ২৩ জন আইনপ্রণেতা করোনায় আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির বেশ কয়েকজন ভাইস প্রেসিডেন্ট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়া: দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। এক সপ্তাহের কম সময় আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। সফরে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার, ট্রাম্পকন্যা ও তার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইভাঙ্কা ট্রাম্পসহ হোয়াইট হাউসের অন্যানা কর্মকর্তা রয়েছেন।
মঙ্গোলিয়া: চীনে একদিনের সফর শেষে দেশে ফেরার পর মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট খালতামাগিন বাত্তুলগাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তবে এরপর প্রেসিডেন্টের করোনা পরীক্ষা করা হলেও করোনার উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়নি।
এসএ/জেআইএম