করোনা আতঙ্কে মুরগির কেজি ১০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, ১৬ মার্চ ২০২০

করোনা আতঙ্ক এখন বিশ্বজুড়েই বিরাজ করছে। ধস নেমেছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। করোনা আতঙ্কে ভারতেও তলানিতে গিয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের জেরে বর্তমানে মুরগি ও ডিম খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। ফলে মাত্র ১০ টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে একটি আস্ত মুরগি।

করোনার জেরে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে এখন ১০০ শতাংশ লোকসানে চলছে পোলট্রির ব্যবসা। কয়েক সপ্তাহ আগেও ৮০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে এক কেজি মুরগি পাওয়া গেলেও এখন দাঁড়িয়েছে ১০ টাকায়।

রাজ্যের পুনের এক পোলট্রি ফার্মের মালিক প্রমোদ হিঙ্গে বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগে আমার প্রায় ১০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। বাজারে একদম মুরগির চাহিদা নেই। ফলে প্রান্তিক গ্রামে গাড়ি করে খুব কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।

তবে দেশটির পশুপাল বিভাগ ও ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, করোনার সঙ্গে মুরগির কোনো সম্পর্ক নেই। বার্ড ফ্লু নিয়ে আগে থেকেই মানুষের মনে ভীতি রয়েছে। সেই থেকেই তারা ভাবছেন করোনাভাইরাসও মুরগি থেকে ছড়ায়।

সংস্থার প্রধান বসন্ত কুমার শেট্টি বলেন, গোটা মহারাষ্ট্রের পোলট্রি চাষিরা কয়েক সপ্তাহ আগে মোট ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। যাই দাম হোক না কেন, মুরগি বিক্রি করতে হবে। এক সপ্তাহ আগে এক কেজি বিক্রি হয়েছে মাত্র ৭০ টাকায়। সেই দাম বর্তমানে ১০ থেকে ২০ টাকায় নেমে গেছে।

মহারাষ্ট্রের পোলট্রি ব্রিডারস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, এই ক্ষতির জন্য সরকার কিছুটা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। আমরা জানি না কীভাবে ব্যাংকের ঋণ, বিদ্যুতের বিল ও মাসিক খরচ চালাব। কেন্দ্রের কাছেও ক্ষতিপূরণ চেয়ে অনুরোধ করা হবে।

করোনায় ভারতে এখন পর্যন্ত দিল্লি ও কর্ণাটকে দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১০৭ জন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন এই মহারাষ্ট্রেই, ৩১ জন।

বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ৫১৬ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫২ জন। চীনের পর সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন ইউরোপের দেশ ইতালিতে। মৃতের দিক দিয়ে এরপরই রয়েছে ইরান।

বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।