হোম-কোয়ারেন্টাইন থেকে পালানো ঠেকাতে হাতে বসছে সিল!
নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে পুরো বিশ্ব। কার্যত ‘অবরুদ্ধ’ হয়ে পড়ছে বহু দেশ। বলতে গেলে বিশ্ব এখন বিচ্ছিন্ন। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রত্যেক দেশেই সন্দেভাজন ব্যক্তিদের রাখা হচ্ছে কোয়ারেন্টাইনে। যেখানে ১৪ দিন তাদের আলাদা করে রাখা হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ও ভারতে কোয়ারেন্টাইন কিংবা হোম কোয়ারেন্টাইন অথবা চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে রোগীরা পালিয়ে যাচ্ছেন এবং ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে মহারাষ্ট্র রাজ্যের প্রায় সাতজন করোনা উপসর্গযুক্ত ব্যক্তি চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে পালিয়ে গেছেন।
এই অবস্থায় করোনার উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে পালানো ঠেকাতে তাদের বাঁ হাতে একটি বিশেষ ‘সিল’ মেরে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার, যেন তাদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করে রাখা যায়।
দেশটির সরকারি হিসাবে, ভারতে এখন পর্যন্ত ১২৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই রয়েছেন সর্বোচ্চ ৩৯ জন। এ ছাড়া মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত একজন মারা গেছেন, যিনি ভারতে করোনায় মৃত তৃতীয় ব্যক্তি।
এ অবস্থায় রাজ্যের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়া কারও অপরাধ নয়। তাদের অবশ্যই যথাযথ চিকিৎসা এবং মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা দেয়া দরকার। রাজ্যের জনগণের স্বার্থেই মহামারি নিরোধক আইন তৈরি করা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসনকে অবশ্যই এ রোগ সম্পর্কে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।’
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপ বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোনো ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হলেও তিনি তা না মেনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মানুষজনের সঙ্গে মিশছেন। এর ফলে আরও বেশি করে করোনা সংক্রমিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘তাই ভোট দেয়ার পর ভোটারদের হাতে যে অমোচনীয় কালি লাগানো হয়, সেই কালি দিয়ে করোনার উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের বাঁ হাতে একটি সিল মেরে দেয়া হবে। যাতে সহজেই তাকে চেনা যায়।
এ ছাড়া কেউ করোনা সংক্রমণের উপসর্গ শরীরে থাকার পরও ঘর থেকে বেরিয়ে অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
জেডএ/এমএস