হুবেই প্রদেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়নি কেউ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২৩ পিএম, ২০ মার্চ ২০২০

চীনের হুবেই প্রদেশের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর। সেখানে নতুন করে আর কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নতুন করে যে ৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তারা বিদেশি নাগরিক। ধারণা করা হচ্ছে তারা অন্য দেশ থেকে আক্রান্ত হয়েই চীনে প্রবেশ করেছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই চীনের বিভিন্ন স্থানে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ে। তবে চীনে যতজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বা মারা গেছে তার মধ্যে অধিকাংশই ছিল হুবেই প্রদেশের উহান শহরের বাসিন্দা।

কিন্তু ওই শহরের কোনো বাসিন্দা নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। যারা নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে তারা সেখানকার বাসিন্দা নয়। বুধবারও নতুন করে উহান শহরে কারো আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

কয়েক মাস ধরে করোনার সঙ্গে রীতিমত যুদ্ধ করে যাচ্ছে চীন। গত কয়েক মাসে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছিল। কিন্তু প্রথমবারের মতো বুধবার এই অবস্থার পরিবর্তন চোখে পড়েছে। ফলে নতুন করে আশার আলো দেখছে উহানের মানুষ। দেশটিতে মৃতের সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে।

এখন পর্যন্ত ১৭৯টি দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সারাবিশ্বে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬১৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১০ হাজার ৪৮ জন। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৮৮ হাজার ৪৩৭ জন।

করোনা আতঙ্কে অনেক দেশই অবরুদ্ধ (লক ডাউন) হয়ে পড়েছে। দোকান-পাট, ব্যবসায় বাণিজ্য, স্কুল, কলেজ সব বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত চীনে ৮০ হাজার ৯৬৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে মারা গেছে ৩ হাজার ২৪৮ জন।

অপরদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এখন সবার ওপরে আছে ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আরও ৪২৭ জনের প্রাণহানির সঙ্গে সঙ্গে তারা ছাড়িয়ে গেছে করোনার উৎস চীনকেও। এ নিয়ে ইউরোপের দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪০৫ জনে।

টিটিএন/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।