লকডাউন: পুলিশের বাড়াবাড়িতে ১৫০০০ লিটার দুধ, ১০০০০ কেজি সবজি নষ্ট
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে গোটা ভারতজুড়ে। অতিজরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ায় দেয়া হয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। এ আদেশ অমান্য করলেই রীতিমতো পিটিয়ে মানুষজনকে ঘরে ফেরাচ্ছে পুলিশ। তবে সেক্ষেত্রে কিছু নিরাপত্তাকর্মীদের বাড়াবাড়িতে সৃষ্টি হয়েছে নতুন বিপত্তি।
অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহেও বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। তাদের অভিযোগ, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওষুধ বা মুদি সামগ্রী পৌঁছে দিতে নিয়োজিত কর্মীদের নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। অনেক সময় মারধর, এমনকি গ্রেফতারও করা হয়েছে।
এর ফলে এমন অভুতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্যেই তৈরি হয়েছে নতুন সংকট। বিপুল পরিমাণ পণ্য ফেলে দিতে হচ্ছে। এপর্যন্ত অন্তত ১৫ হাজার লিটার তরল দুধ ও ১০ হাজার কেজি সবজি নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
বিগ বাস্কেট, ফ্রেশ মেনু ও পর্টিয়া মেডিকেলের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মের প্রমোটার কে গণেশ বলেন, গত কয়েকদিনে পুলিশ বহু ডেলিভারি এজেন্টকে হেনস্থা করেছে, মারধর করেছে, একজনকে গ্রেফতারও করেছে।
তিনি বলেন,সরকার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারিভাবে স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে খাবার, মুদির দোকানের জিনিসপত্র, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ডেলিভারিতে বাধা দেয়া যাবে না। কিন্তু অনেক নিরাপত্তাকর্মী মনে হয় সেই নির্দেশের অর্থ বুঝতে পারেননি।
ভারতীয় পুলিশের সমালোচনা করে গণেশ বলেন, তারা জানে না অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনে বাধা দেয়া যায় না। অনেকের সঙ্গেই তারা খারাপ ব্যবহার করছে। মারধর করছে। কেরালায় আমাদের এক স্বাস্থ্যকর্মী এক রোগীর বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
একারণে লকডাউন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত নিরাপত্তাকর্মীদের প্রতি তার অনুরোধ, এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, তাদের মারবেন না।
সূত্র: এনডিটিভি
কেএএ/