করোনা ঠেকাতে বিদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করলো চীন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল চীনে। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই এর বিস্তার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এনেছে তারা। এরপরও নতুন সংক্রমণ থেমে নেই। এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে মূলত বিদেশফেরত নাগরিকদের। তাদের মাধ্যমেই দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় মহামারি শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এবার করোনার সংক্রমণ পুরোপুরি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে বিদেশিদের প্রবেশে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চীন। শুক্রবার রাত থেকেই কার্যকর হচ্ছে এই নিষেধাজ্ঞা।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্ত বিদেশিরাও আপাতত চীনে প্রবেশ করতে পারবেন না। সব ধরনের ভিসামুক্ত ট্রানজিট সুবিধাও স্থগিত করা হয়েছে।
তবে কূটনীতিক, অর্থনৈতিক প্রয়োজন, ব্যবসা, বিজ্ঞান বা প্রযুক্তিগত কাজে যোগ দেয়া এবং জরুরি মানবিক প্রয়োজন থাকলে তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবেন। ‘সি’ ভিসাধারীরাও নিষেধাজ্ঞা চলাকালে চীনে প্রবেশ করতে পারবেন। সাধারণত আন্তর্জাতিক পরিবহন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বিদেশিদের এই ভিসা দেয়া হয়।
এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনে করোনার প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতি এবং অন্যান্য দেশের প্রস্তুতির পরিপ্রেক্ষিতে এই নিষেধাজ্ঞা দিতে বাধ্য হয়েছে তারা।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় নভেল করোনভাইরাস। এরপর থেকেই দেশটিতে কারফিউ ও লকডাউন জারি করা হয়। বন্ধ হয়ে যায় বেশিরভাগ কল-কারখানা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। ভাইরাসের সংক্রমণ কমার পর কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান খুললেও এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি সেখানকার পরিস্থিতি।
চীনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ছয়জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজার ২৮৫ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৮৭ জনের। এ পর্যন্ত সেখানে ৭৪ হাজারেরও বেশি কোভিড-১৯ রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
সূত্র: ডেইল মেইল
কেএএ/