করোনায় নতুন আক্রান্ত, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কমিয়ে আনছে চীন
করোনা ভাইরাসে চীনের মূল ভূখণ্ডে গত তিনদিনে নতুন করে আরও একজন স্থানীয় বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে দেশটিতে ৫৪ জন বিদেশি নাগরিক নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবার করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই চীনের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গত কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় চীন দেশটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
হুবেই প্রদেশে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা শূন্যের কোঁঠায় এসে পৌঁছায়। কিন্তু চীনে এখন নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে বিদেশফেরত নাগরিকরা। দ্বিতীয় দফায় নতুন করে বিদেশফেরত নাগরিকরাই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে।
ফলে এই বিদেশফেরত নাগরিকদের মাধ্যমেই দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় মহামারি শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সেকারণে করোনার সংক্রমণ পুরোপুরি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে বিদেশিদের প্রবেশে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চীন। শুক্রবার রাত থেকেই কার্যকর হচ্ছে এই নিষেধাজ্ঞা। অপরদিকে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কমিয়ে আনার জন্য সব এয়ারলাইন্সকে নির্দেশ দিয়েছে বেইজিং। নতুন করে যেন বিদেশফেরত নাগরিকদের মাধ্যমে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নতুন করে ৫৫ জনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৫৫ জনই বিদেশি নাগরিক। বাকি একজন স্থানীয় বাসিন্দা। এর আগের দিন ৬৭ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৩৪০ জন এবং মারা গেছে ৩ হাজার ২৯২ জন। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭৪ হাজার ৫৮৮জন
বাণিজ্যিক রাজধানী সাংহাইতে ১৭, গুয়াংডং প্রদেশে ১২, রাজধানী বেইজিং ও এর কাছাকাছি শহর তিয়ানজিনে ৪ জন বিদেশি নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ৯০ শতাংশই বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে চীন। যেখানে আগে প্রতিদিন ২৫ হাজার যাত্রী বহন করা হতো সেখানে তা কমিয়ে ৫ হাজার করা হচ্ছে।
বিদেশি নাগরিক, বৈধ ভিসাধারীরা শনিবার থেকে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
টিটিএন/পিআর