করোনা বিপর্যয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বৈধতা দিল পর্তুগাল
করোনাভাইরাস বিপর্যয়ে পর্তুগালের সকল অভিবাসন প্রত্যাশীকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির অভিবাসন অধিদফতরে (এসইএফ) যাদের বৈধ হওয়ার আবেদন করা ছিল শুধু তারা এ সুযোগের আওতায় পড়বেন। শুক্রবার রাতে একটি আদেশে এমনটি জানিয়েছেন পর্তুগালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডুয়ার্ডো ক্যাব্রিতা।
এতে আরও জানানো হয়, পর্তুগালের অভিবাসন অধিদফতরে আবেদনের কাগজটি এখন থেকে অস্থায়ী রেসিডেন্স পারমিট হিসেবে গণ্য হবে। এই প্রমাণ বা আবেদনের কাগজ দিয়ে আবেদনকারীরা এখন থেকে পর্তুগালের সকল রাষ্ট্রীয় সেবা নিতে পারবেন বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা।
পর্তুগালে যারা রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন ধরনের আশ্রয়ে আছেন তারাও এই আদেশের আওতায় পড়বেন। করোনাভাইরাস ‘সংকটের সময় এটি আমাদের সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য’ বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী এডুয়ার্ডো ক্যাব্রিতা।
দেশটির সরকার নিশ্চিত করেছে যে, সকল অভিবাসী যাদের অভিবাসন অধিদফতরে আবেদন অপেক্ষমাণ রয়েছে তারা এখন থেকে নিয়মিত বলে বিবেচিত হবেন এবং অন্যান্য নাগরিকের মতো সামাজিক অধিকারসহ সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এই আদেশটি কার্যকর হবে ১৮ মার্চ থেকে, যেদিন করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে পর্তুগালে জরুরি আইন জারি করা হয়।
এর আওতায় এখন থেকে আবেদনকারীরা জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বা অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবার অধিকার, সামাজিক সহায়তা সুবিধা, ইজারা চুক্তিতে স্বাক্ষর, কর্মসংস্থান চুক্তি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা এবং প্রয়োজনীয় সরকারি সেবা চুক্তিসহ সকল নাগরিক সুবিধা পেতে অস্থায়ী হিসেবে বিবেচিত হবেন।
সাম্প্রতিক সময়ে অন্য একটি আদেশে যাদের যাদের ভিসা বা কার্ডের মেয়াদ ২৪ ফেব্রুয়ারির পর শেষ হওয়ার কথা তাদের ভিসা বা কার্ডের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
ঠিক কতজন আবেদনকারী রয়েছেন এই মুহূর্তে তাদের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। তবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত যাদের আবেদন করা আছে তাদের রেসিডেন্স কার্ড প্রদানের জন্য ১ জুলাই থেকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাস সারাবিশ্বের ন্যায় পর্তুগালেও ছড়িয়ে পড়লে ২০টি অভিবাসী সংগঠনের দাবি ছিল, যারা পর্তুগালে বৈধভাবে কাজ করছেন এবং সামাজিক নিরাপত্তায় অবদান রাখছেন তাদের বৈধতা দেয়া।
এ প্রসঙ্গে কথা হয় পর্তুগাল অভিবাসন অধিদফতরে কর্মরত একমাত্র ইন্দো-এশিয়ান সহকারী অফিসার মঈন উদ্দিন আহমেদের সাথে।
তিনি বলেন, আপাতত অভিবাসন প্রত্যাশী যারা আবেদন করেছেন তাদের বৈধতা প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ তারাও এখন থেকে সকল নাগরিক সুবিধা-সুবিধা পাবেন। তবে ১ জুলাই থেকে তাদের রেসিডেন্স পারমিট ইসুর বিষয়ে সাক্ষাৎকারের সময় নির্ধারণ করবেন।
এমআরএম/বিএ