করোনা নিয়ন্ত্রণের দুশ্চিন্তায় জার্মান মন্ত্রীর আত্মহত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৪ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২০

জার্মানিতে রেললাইনের ওপর থেকে এক মন্ত্রীর ছিন্নভিন্ন মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি দেশটির হেসে প্রদেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস সংকট নিয়ে উদ্বেগের জেরেই থমাস শয়েফার নামের ওই মন্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শনিবার ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং মাইনজের মধ্যবর্তী হোচাইম শহরে রেললাইনের ওপর থেকে শয়েফারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উইসবাডেন প্রসিকিউশন অফিস জানিয়েছে, তাদের বিশ্বাস শয়েফার আত্মহত্যা করেছেন। ট্রেনে কাটা পড়ে গোটা দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় প্রথমে তাকে শনাক্ত করা যাচ্ছিল না।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, করোনার প্রকোপ থেকে দেশের অর্থনীতিকে কীভাবে বাঁচাবেন তা নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকেই দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন ৫৪ বছর বয়সী এই মন্ত্রী। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আর্থিক সহায়তা নিয়ে সম্প্রতি বিবৃতিও দিয়েছিলেন তিনি।

jagonews24

এদিকে, অর্থমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন হেসে প্রদেশের প্রধান ভকার বফিয়ার। রেকর্ড করা এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। আমরা শোকাহত।’

দীর্ঘ দুই দশক হেসের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন থমাস শয়েফার। অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন টানা ১০ বছর। সম্প্রতি উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিনরাত কাজ করছিলেন তিনি।

প্রিয় সহকর্মীর মৃত্যুতে শোকাহত বফিয়ার বলেন, ‘তিনি নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন। এমন কঠিন সময়ে তার মতো একজনকে খুব দরকার ছিল আমাদের।’

জানা যায়, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেলের সেন্টার রাইট ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটস (সিডিইউ)-এর সদস্য ছিলেন শয়েফার। তাকে বফিয়ারের উত্তরসূরি হিসেবেও ভাবা হতো।

ইউরোপের অন্য দেশগুলোর মতো জার্মানিতেও দ্রুত বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দেশটিতে এপর্যন্ত অন্তত ৫৪ হাজার ২৪৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে, মারা গেছেন ৪৫৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫৫২ জন, মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে অন্তত ৮ হাজার ৪৮১ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

সূত্র: ডয়চে ভেলে
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।