করোনায় কাঁপছে বিশ্ব, ব্যবসায় ফুলে ফেঁপে উঠছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২০

করোনা আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়ে গেছে গবেষকদের। শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর প্রশাসকদের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। সবার একটাই চিন্তা কীভাবে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস প্রতিরোধ করবেন।

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। অথচ গত কয়েক মাসেই করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে চীন। দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কয়েকগুণ কমেছে।

এখন পর্যন্ত ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দেশে ৭ লাখ ২৩ হাজার ১২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে ৩৩ হাজার ৯৮৬ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৯৮ জন।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপরই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে গত কয়েক দিনে চীনে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমতে থাকলেও অন্যান্য দেশে দ্রুত গতিতে এই ভাইরাসের বিস্তার হচ্ছে।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়লেও গত ছয়দিনে সেখানে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে।

china

এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। নানা ধরনের প্রতিরোধ দিয়েই ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে এই ভাইরাসকে। বেইজিং করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এমনটাই দাবি করেছে। এরপরই বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ থেকে চীনের কাছে করোনার প্রতিরোধমূলক বিভিন্ন জিনিস নেয়ার জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।

বলা হচ্ছে, চীনে বর্তমানে এমন বহু কারখানা গড়ে উঠেছে যেখানে তৈরি হচ্ছে গ্লাভস, মাস্ক, সুরক্ষা স্যুট ইত্যাদি নানা ধরনের জিনিস। সেগুলো বিদেশে রপ্তানিও করছে চীন। বিনিময়ে আসছে প্রচুর বৈদেশিক ডলার। এর ফলে ক্রমেই স্থিতিশীল হচ্ছে চীনের অর্থনীতি।

অন্যদিকে ইতালি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে যে, কৌশলে বাণিজ্যিক স্বার্থেই কী এই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটিয়েছে চীন?

তবে এমন গুঞ্জন উঠলেও এখনও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। খোদ চীনের তথ্য অনুসারে, ২ কোটি ১৫ লাখ জনসংখ্যার শহর বেইজিংয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৬৯। এদের মধ্যে প্রাণহানি হয়েছে আটজনের। সাংহাইয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে পাঁচজন। সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৮ জন। ওই শহরের জনসংখ্যা ২ কোটি ৪০ লাখ।

করোনায় চীনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে উহানে। শুধু উহানেই সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত ও মৃত্যু হলেও অপর দুই শহরে এত কম আক্রান্ত কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

চীনা প্রশাসন অবশ্য সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, মার্কিন সেনাবাহিনী বিশ্বের কাছে চীনের দুর্নাম করতেই এমন অভিযোগ তুলেছে। যদিও চীনের এই অভিযোগ উড়িয়ে করোনাভাইরাসের জন্য চীনকেই দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।