করোনা ঠেকাতে ম্যালেরিয়ার ওষুধ সেবন, ভারতীয় চিকিৎসকের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৪ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২০

আক্রান্ত হওয়ার আগেই করোনা প্রতিরোধের জন্য ম্যালেরিয়ানিরোধী ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সেবন করে ভারতে একজন চিকিৎসক মারা গেছেন। দেশটির আসাম প্রদেশের গুয়াহাটির একটি হাসপাতালের এই চিকিৎসক করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধটি সেবনের পর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।

মৃত ওই চিকিৎসকের নাম উৎপল জিৎ বর্মণ (৪৪)। আসামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের সিনিয়র অ্যানেসথেটিস্ট ছিলেন তিনি। করোনার মহামারিতে পূর্ব-সতর্কতা হিসেবে ম্যালেরিয়ার ওই ওষুধটি সেবন করেছিলেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলছে, ওষুধটি সেবনের কারণেই তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়েছিল কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। সূত্রগুলো বলছে, ওষুধটি সেবনের পর অস্বস্তির কথা হোয়াটসঅ্যাপে তার সহকর্মীদেরকে জানিয়েছিলেন।

দেশটিতে করোনা রোগীদের সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সেবনের পরামর্শ দিয়েছে ভারতের সরকারি র্শীষস্থানীয় মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠান দ্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। আসামে এখন পর্যন্ত কোনও করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। এছাড়া ডা. বর্মণ করোনার কোনও রোগীকে চিকিৎসাও দেননি।

কোভিড-১৯ থেকে নিরাময় অথবা ঠেকানোর জন্য কোনও ব্যক্তি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্বেচ্ছায় এই ওষুধ সেবন করতে পারবেন না বলে সতর্ক করে দিয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ। ভারতে মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন অন্তত এক হাজার ২৫১ এবং মারা গেছেন ৩২ জন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ভারতে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। এই লকডাউনের এক সপ্তাহ না যেতেই দেশটির লাখ লাখ দরিদ্র শ্রেণির মানুষ চরম মানবিক সঙ্কটে পড়েছেন। দেশটিতে আগামী মে মাসের মাঝের দিকে এক লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে সতর্ক করে দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, দুর্বল ও নাজুক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কাড়তে পারে করোনা।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।