জরুরি না হলে ফার্মেসি-মুদি দোকানে যেতেও মানা যুক্তরাষ্ট্রে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৪ পিএম, ০৫ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাস সংক্রমণ এতোটাই ভয়াবহ ও ব্যাপক রূপ নিয়েছে যে, এখন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মুদি দোকান ও ফার্মেসিতেও না যেতে সতর্কতা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। অন্তত আগামী দুই সপ্তাহ এই সতর্কতা মেনে চলার জন্য আমেরিকানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ড. ডেবোরাহ বার্কস নামে ওই কর্মকর্তা।

ড. ডেবোরাহ মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস বিষয়ক টাস্কফোর্সের কোঅর্ডিনেটর। শনিবার (৪ এপ্রিল) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে নিউইয়র্ক, ডেট্রয়েট ও লুইজিয়ানার মতো এলাকার পরিস্থিতি তুলে ধরে আমেরিকানদের ঘরে থাকার আহ্বান জানান।

ড. ডেবোরাহ বলেন, সামনের দুই সপ্তাহ আমাদের জন্য খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন মুদি দোকানেও যাওয়ার সময় নয়, ফার্মেসিতেও যাওয়ার সময় নয়। এখন দরকার নিজের পরিবার, বন্ধু-স্বজনদের নিরাপদে রাখতে ছয় ফিট দূরত্ব বজায় রেখে কাজকর্ম করা এবং বারবার হাত ধোয়া।’

সবশেষ হিসাব মতে, করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত প্রায় সোয়া ৩ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৯ হাজার ১২৯ জন।

jagonews24

কেবল শনিবারেই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৯৭ জনের। স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, রোববারের মৃত্যুর সংখ্যা শনিবারকেও ছাড়িয়ে যাবে। সামনের দিনগুলো আরও ভয়াবহ হতে পারে।

সেজন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে আমেরিকাকে আরও বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যুর খবর শোনার প্রস্তুতি নিতে হবে। এটা জাতির জন্য এক ভয়ঙ্কর সময় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে এই দুই সপ্তাহ।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করে ড. ডেবোরাহ জনগণকে বলছেন, নিউইয়র্কসহ অন্যান্য বিপর্যস্ত এলাকায় যা ঘটেছে, সেটা ঘটতে না দেয়ার জন্য আপনাদের ঘরে থাকতে হবে।

তার এই পরামর্শ বিশেষত পেনসিলভানিয়া, কোলোরাডো এবং ওয়াশিংটন ডিসির নাগরিকদের মানতে বলা হয়েছে। নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, লুইজিয়ানার তুলনায় এসব অঞ্চল এখনো অনেকটা ভালো আছে। তাই সেখানকার লোকজনকে ঘরে থাকা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এইচএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।