করোনা: আশা-নিরাশার দোলাচলে ইতালি
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারির ভয়াল থাবায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া ইতালি যেন পড়েছে আশা-নিরাশার দোলাচলে। এই একদিন মৃত্যু বাড়ছে তো পরের দিন কমছে। কিন্তু করোনার এই থাবার নিম্নমুখী মৃত্যু একদিন অথবা দু'দিন পর আবার বাড়ছে।
দু'দিন আগে দেশটিতে পরপর করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমে এলেও সোমবার সেটি বেড়েছে। সোমবার ইউরোপের এই দেশটিতে ৫৬৬ জনের প্রাণহানি ঘটলেও মঙ্গলবার সেই সংখ্যা বেড়েছে ৬০২ জনে। করোনায় মৃত্যুর সর্বোচ্চ চূড়া পেরিয়ে আসা ইতালিতে এ নিয়ে টানা দু'দিন প্রাণহানি আবার বেড়েছে।
তবে মৃত্যু বাড়লেও গতকালের চেয়ে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত কমে এসেছে। সোমবার দেশটিতে ৩ হাজার ১৫৩ জন করোনায় সংক্রমিত হলেও মঙ্গলবার সেই সংখ্যা ২ হাজার ৯৭২; যা গত ১৩ মার্চের পর সর্বনিম্ন।
ইতালির বেসামরিক সুরক্ষা সংস্থা বলছে, করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রাণহানি ঘটেছে ২১ হাজার ৬৭ জনের। বিশ্বে করোনায় প্রাণহানির এই সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এছাড়া ইতালিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৮ জন; যা যুক্তরাষ্ট্র এবং স্পেনের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণ। মঙ্গলবার পর্যন্ত ইতালিতে আইসিইউতে আছে করোনায় আক্রান্ত ৩ হাজার ১৮৬ জন; যা আগের দিনই ছিল ৩ হাজার ২৬০। আইসিইউতে করোনা রোগীর সংখ্যা এ নিয়ে টানা ১১ দিনের মতো কমেছে।
দেশটিতে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৩৭ হাজার ১৩০ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথমবারের মতো করোনার উপস্থিতি নিশ্চিত হন দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা। চীনে এখন পর্যন্ত এতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ২৪৯ এবং মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৪১ জন।
চীনের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের ২২০টিরও বেশি দেশ এবং অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এখন ১ লাখ ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ। করোনায় এই মুহূর্তে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র; দেশটিতে ২৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাক ৮৭ হাজার ১৭৩ জন।
সূত্র : রয়টার্স।
এআইএস/এমআরএম