চীনের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করে জার্মান পত্রিকায় প্রতিবেদন

হাবিবুল্লাহ আল বাহার
হাবিবুল্লাহ আল বাহার হাবিবুল্লাহ আল বাহার জার্মানি
প্রকাশিত: ০৪:৫২ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে চীনের কাছে ১৩ হাজার কোটি পাউন্ডের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে জার্মানির জনপ্রিয় জাতীয় পত্রিকা ‘বিল্ড’। করোনা মহামারির জন্য বেইজিংকে দায়ী করে সর্ববৃহৎ জাতীয় পত্রিকা ‘বিল্ড’এ প্রকাশিত এক মন্তব্য প্রতিবেদনে এমন দাবি জানানো হয়। একই কারণে এরই মধ্যে চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র। এবার তার সঙ্গে যোগ দিলো জার্মানিও।

মন্তব্য প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, চীনের উহান থেকেই করোনাভাইরাসের উৎপত্তি এবং বিষয়টিকে চীন ধামাচাপা দিয়ে রাখতে চেয়েছিল। এ ছাড়া তারা করোনায় মৃতের সংখ্যাকে অনেক কম করে দেখিয়েছে।

যেহেতু ভাইরাসটির উৎসস্থল চীন, তাই বেজিংয়ের উপর বেজায় নারাজ আমেরিকা ও ইউরোপ। ইতোমধ্যেই বেইজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। এবার, আরও একধাপ এগিয়ে চীনের কাছে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে জার্মানির প্রথম সারির এই সংবাদমাধ্যম। তবে জার্মান ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে এই বিলের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। সরকারের কোনো কর্মকর্তার পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া বা বক্তব্য জানা যায়নি।

চীনকে তুলোধোনা করে সদ্য প্রকাশিত এই প্রবন্ধে পর্যটন, উৎপাদন শিল্প-সহ বিভিন্ন খাতে করোনার জেরে হওয়া লোকসানের খতিয়ান তুলে ধরে চিনের বিরুদ্ধে ১৩০ বিলিয়ন পাউন্ডের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। কড়া ভাষায় বেইজিংয়ের সমালোচনা করে ওই প্রবন্ধে বলা হয়েছে, গোটা বিশ্বের কাছে ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছে শি জিনপিং প্রশাসন। সঠিক সময়ে বেইজিং সমস্ত তথ্য প্রকাশ করলে এই মহামারিকে ঠেকানো যেত।

এদিকে, সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে পাল্টা সংবাদপত্রটির বিরুদ্ধে উগ্র জাতীয়তাবাদ উসকে দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছে বেইজিং।

ইতোপূর্বে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, চীন ইচ্ছাকৃতভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে, এই প্রমাণ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শি জিনপিংকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প সাফ বলেন, চীনের ভুলের জন্য এখন গোটা পৃথিবীকে ভুগতে হচ্ছে। ওরা চাইলেই ভাইরাসটিকে ছড়ানো থেকে আটকাতে পারত। কিন্তু সেটা করা হয়নি।

‘বিল্ড’এ প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে পর্যটন খাতে ২৭০০ কোটি ইউরো বা ২৩৫২.০২ কোটি পাউন্ড ক্ষতি দেখানো হয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পে ৭২০ কোটি ইউরো বা ৬২৭.২১ কোটি পাউন্ড, জার্মানির বিমান সংস্থা লুফথানছায় ঘণ্টা প্রতি ১০ লাখ ইউরো বা ৮৭ লাখ পাউন্ড এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায় ৫০০০ কোটি ইউরো বা ৪৩৫৫.৬০ কোটি পাউন্ড ক্ষতি দেখানো হয়েছে। ‘বিল্ড’-এর হিসাব মতে, এই ক্ষতি জার্মানিতে যদি জাতীয় প্রবৃদ্ধি শতকরা ৪.২ ভাগ পতন হয়, তাহলে মাথাপিছু ক্ষতি হবে ১৭৮৪ ইউরো বা ১৫৫০ পাউন্ড। এ নিয়ে ‘বিল্ড’-এর সংবাদ শিরোনাম ‘ Was China uns jetzt schon schuldet’। অর্থাৎ আমাদের কাছে চীনের যে ঋণ।

এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।