অর্থনীতি বাঁচাতে দোকানপাট মহাসড়ক খুলে দিলো ইরান
করোনার প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত ইরানের অর্থনীতির চাকা সচল করতে দেশটির আন্তঃনগর মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। করোনার ধাক্কা ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে জর্জরিত অর্থনীতির প্রাণ ফেরাতে সোমবার থেকে মহাসড়কে যান চলাচল ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র পুনরায় চালু করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এসেছে দাবি করে নতুন এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তেহরানের ঐতিহাসিক গ্রান্ড বাজারের আকাশচুম্বী শপিং মলের পাশাপাশি গলির দোকানের দরজাও খুলেছে। এসব কেন্দ্র খোলা থাকবে প্রত্যেকদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তবে দেশটির রেস্টুরেন্ট, জিম এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
যদিও ইরানের করোনা প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতি ও কর্মে ফেরা মানুষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যাত্রীদের আসন থেকে প্ল্যাস্টিক দিয়ে ট্যাক্সির চালকরা বেষ্টনী তৈরি করে মাস্ক পরে পরিবহন সেবা দিচ্ছেন।
ক্যাব চালক নিমাত হাসান জাদেহ বলেন, আমরা ট্যাক্সি চালকরা অন্য যে কারও চেয়ে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছি। কারণ আমাদের প্রতিনিয়ত মানুষের সংস্পর্শে আসতে হয়। এটা সত্ত্বেও আমাদের কোনো বিকল্প নেই; কাজ করতেই হবে। আমাদের বাড়িতে ঘুমানোর সামর্থ নেই। আমি একজন ভাড়াটিয়া, মাসের ভাড়া এবং গাড়ির ঋণ পরিশোধের জন্য অর্থের দরকার।
ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আকান্ত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি। দেশটিতে এখনও করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এই সঙ্কট মোকাবিলা করতে গিয়ে দেশটির বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং এমপি, মন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে লকডাউন কার্যকর করা হলেও দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি নেতৃত্বাধীন সরকার ২৪ ঘণ্টার লকডাউনের পথে হাঁটতে অনীহা দেখিয়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা।
এসআইএস/জেআইএম