করোনা সংক্রমণের নতুন উপসর্গ!
নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য নতুন একটি উপসর্গ খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। একে বলা হচ্ছে ‘কোভিড টোস’। এখন পর্যন্ত শিশু ও তরুণদের মধ্যেই বেশি দেখা গেছে এ ধরনের লক্ষণ।
গত মার্চে ইতালির কিছু চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ (ডার্মাটোলজিস্ট) দেখতে পান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিছু রোগীর পায়ের পাতা ও আঙুলে প্রদাহ হচ্ছে। এমনকি অঙ্গগুলোর রঙও বদলে যাচ্ছে।
সাধারণত ফ্রস্টবাইট বা পার্নিওতে আক্রান্তরা এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন। মেরু অঞ্চল বা অতিশীতল এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে এমন শারীরিক সমস্যা বেশি দেখা যায়।
প্রথমে ইতালিতে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত এলাকাগুলোতে ‘কোভিড টোস’ দেখা গেলেও পরে যুক্তরাষ্ট্রেও এর সন্ধান পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যেই আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ডার্মাটোলজির চিকিৎসকরা কারও শরীরে কোভিড টোস দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে করোনা টেস্ট করাতে পরামর্শ দিয়েছেন।
কোভিড-১৯ রোগের সবচেয়ে ভয়াবহ দিক ধরা হচ্ছে, এতে আক্রান্ত হলে অনেকেরই কোনও ধরনের উপসর্গ দেখা যায় না। ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাতসারে তাদের মাধ্যমেই করোনাভাইরাস বেশি ছড়াচ্ছে। এ ধরনের রোগীদের খুঁজে বের করাই বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে এতদিন যাদের উপসর্গহীন রোগী ভাবা হচ্ছিল, প্রকৃতপক্ষে তারা পুরোপুরি উপসর্গহীন না-ও হতে পারেন। এক্ষেত্রে আশার আলো দেখাচ্ছে কোভিড টোস।
চিকিৎসকরা আগেই জানিয়েছেন, জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, হঠাৎ স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া বা চোখে গোলাপি আভা দেখা দেয়া করোনা সংক্রমণের প্রধান উপসর্গ। এবার এই তালিকায় পায়ের প্রদাহও (কোভিড টোস) যোগ হতে পারে।
তবে, কোভিড টোস সত্যিই করোনার উপসর্গ এটি এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। অন্য ভাইরাসে আক্রান্তদের পায়ের বর্ণও নীল বা বেগুনি হয়ে যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে। সুতরাং এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর মতো পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের অভাব রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা। ইউরোপ ও আমেরিকার চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে এখনও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সূত্র: ফোর্বস, ইন্ডিয়া টুডে
কেএএ/এমএস