অ্যান্টিবডি দ্বিতীয়বার সংক্রমণ থেকে বাঁচাবে তার প্রমাণ নেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২০ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০২০

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর যারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাদের শরীরের অ্যান্টিবডি দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হওয়া থেকে রক্ষা করবে এমন কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

করোনার মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে অনেকেই বলছেন, করোনা সংক্রমিত হওয়ার পর যারা সুস্থ হয়েছেন, তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে পারে; যা এই ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকায় এবং পুনরায় সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করে।

কেউ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা তা অ্যান্টিবডি টেস্টের মাধ্যমে জানা যায়। বর্তমানে তৈরি হওয়া বৈশ্বিক অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজতে অনেকেই অ্যান্টিবডি টেস্টের ওপর জোর দিচ্ছেন।

তারা বলছেন, অনেকে করোনা আক্রান্ত হলেও তাদের শরীরে কোনো ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না। এমনকি কোনো ধরনের চিকিৎসা ছাড়াই তারা সুস্থ হয়ে উঠছেন। এক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে লড়াইয়ে করোনা হেরে যায়। এছাড়া করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হয়।

অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, যদি ব্যাপক সংখ্যক মানুষের মাঝে দেখা যায় যে, তারা করোনা সংক্রমিত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন এবং তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে; তখন লকডাউন প্রত্যাহার ও বিধি-নিষেধ শিথিল করার মতো বিষয়গুলো প্রত্যাহার করে জনজীবন কিছুটা স্বাভাবিক করা যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বলছে, শনিবার পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ লাখের বেশি মানুষ। এছাড়া মারা গেছেন ১ লাখ ৯৭ হাজারের বেশি।

বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালানো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন কিংবা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। বিশ্বের ৮০টিরও বেশি গবেষক দল ভ্যাকসিন ও প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক করোনার একটি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছেন। ভ্যাকসিনটি ৮০ শতাংশ সফল হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন অক্সফোর্ড গবেষক দলের প্রধান সারা গিলবার্ট।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।